
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওজনের ফস্কা গেরোতেই শহরে একের পর এক লরি দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। কখনও বেশি ওজন নিয়ে হিমশিম খাওয়া লরি বেপরোয়া গতিতে ফুটপাতে উঠে পিষে দেয় পথচারীদের। কখনও ট্র্যাফিক সিগন্যাল ভেঙে ধাক্কা মারে উল্টো দিক থেকে আসা গাড়িকে।
কখনও আবার সরাসরি ঢুকে যায় রাস্তার ধারের ঘরের দেওয়াল ভেঙে। তবু এই বাড়তি ওজন নেওয়ায় রাশ টানা যায় না। যে কারণে ক্ষতি হয় ব্রিজ, উড়ালপুলেরও।
এবার পণ্যবাহী গাড়িতে অতিরিক্ত ওজন নিলে টন প্রতি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করবে সরকার। আজ, শনিবার পরিবহণ দফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিটিতে জানানো হয়েছে, একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে জরিমানা হবে দশ গুন। পরেরবার আর জরিমানা নয়, বাতিল হবে রেজিস্ট্রেশন সহ লাইসেন্স।
এদিকে, লরিচালক সংগঠনগুলির বড় অংশেরই অভিযোগ, টাকার খেলায় এই বাড়তি ওজন নেওয়াই এখন কার্যত দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ওজন নেওয়ার নিয়ম পরিবর্তন করলেও রাজ্যে তা চালু হয়নি। চলছে ‘টাকায় সেটিং’-এর এক অলিখিত নিয়ম।
তাঁরা জানাচ্ছেন, বন্দরের মালপত্র, এমনকি খাদ্যদপ্তরের ট্র্যাকও এই নিয়মের তোয়াক্কা করে না। রাজ্যে ছ’চাকা থেকে ১২ চাকা পর্যন্ত লরির বহনক্ষমতা নির্দিষ্ট করা রয়েছে। যেমন, ছ’চাকার লরির আট টনের বেশি ওজনের সামগ্রী তোলার কথা নয়। আট চাকার লরির ক্ষেত্রে সেটি ১৬ টন।
১০ চাকা এবং ১২ চাকার লরির ক্ষেত্রে এই হিসেব যথাক্রমে ২৫ এবং ২৭ টন। কিন্তু প্রায় সব লরিই নির্দিষ্ট ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি সামগ্রী নিয়ে শহরে ঢুকছে বলে অভিযোগ।
‘ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সদস্য সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ জানালেন, ভারবহনের বিধি উড়িয়ে বিপুল ওজনের নির্মাণ সামগ্রীর গাড়ি দেদার শহরে ঢুকে পড়ছে। সেতু ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বহু গাড়িও বরাত পাচ্ছে না।
সব ট্রাকে সমান পণ্য দেওয়ার দাবীতেই তাঁরা পরিবহণ দফতরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা খুশি।