Latest News

অবিশ্বাস্য! জঙ্গলের বুক উঠছে নামছে , শ্বাস নিচ্ছে কানাডার ভুতুড়ে জঙ্গল !

দ্য ওয়াল ব্যুরো: কানাডার কুইবেক অঞ্চলের স্যাকরে-কোয়ের অরণ্য। দুপুর দেড়টা দুটো হবে। জিন আর্থার নামে এক শখের ফটোগ্রাফার কানাডার কুইবেক অরণ্যে গিয়েছিলেন ছবি তুলতে। ক্যাডবেরি খেতে খেতে, অন্যমনস্ক হয়ে ছবি তুলতে তুলতে  জঙ্গলের একটু গভীরে ঢুকে পড়েছিলেন। ভেজা জঙ্গলের সোঁদা গন্ধে বুঁদ হয়ে যাওয়া আর্থারের হটাৎ হার্টফেল হওয়ার উপক্রম হলো। তাঁর পা মাটিতে কেউ যেন গেঁথে ফেলেছে। পালাবার উপায় নেই। এ কী দেখছেন চোখের সামনে! নিজের গায়ে চিমটি কাটলেন।  বিস্ফোরিত চোখে তিনি দেখলেন, তাঁর সামনের জঙ্গলটি শ্বাস নিচ্ছে। জঙ্গলের বুক মানে তাঁর পায়ের তলার মাটি একবার ফুলে উঠছে আবার নেমে যাচ্ছে। ঠিক যেমন করে  শ্বাস প্রশ্বাস  নেওয়ার সময় আমাদের বুক ওঠে আর নামে। আর্থার ভাবলেন  তিনি ভুল দেখছেন। কিন্তু হাতের মুভি ক্যামেরাটাও কি ভুল দেখছে ? প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলেন আর্থার। কিন্তু তবুও মনে সাহস এনে ভিডিও তুলে যেতে লাগলেন সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে। না হলে ফিরে গিয়ে বন্ধুদের বললে তারা মস্করা করবে আর্থার গাঁজা খেয়েছে বলে।

দেখুন সেই  টুইট ও অবিশ্বাস্য ভিডিওটি

গত মঙ্গলবার ড্যানিয়েল হল্যান্ড নামে এক ব্যক্তি  টুইটারে লেখেন,  “আমার মনে হচ্ছিল কুইবেক ফরেস্টের মাটি যেন শ্বাস নিচ্ছে “। টুইটের সঙ্গে  সঙ্গে আপলোড করে দেন ভিডিওটি। অনেকে ভিডিও দেখে অস্বস্তি বোধ করেছেন, অনেকে আবার মজাও পেয়েছেন। মুহূর্তের মধ্যে পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়।  ভিডিওটি  এখনও পর্যন্ত ৩০ লক্ষ মানুষ দেখেছেন। স্বীকার করেছেন ভিডিওটি তাঁদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বজুড়ে হট টপিক হয়ে আছে কানাডার এই রহস্যময় অরণ্যের ভৌতিক কার্যকলাপ। স্যাকরে-কোয়ের অরণ্য নাকি শ্বাস নেয়। । স্থানীয় বহু মানুষ চলে যান কুইবেক ফরেস্টে। কেউ দৃশ্যটি দেখে ভয়ে পালিয়ে আসেন, কেউ বমি করে ফেলেন, আবার কেউ রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করতে থাকেন অতি সাহসী হয়ে।

কিন্তু হ্যালোইনের প্রাক্কালে, ইউরোপ আমেরিকার মানুষ যুক্তি শুনতে চাইছেন না। তাঁরা এটাকে আধিভৌতিক বা অতিপ্রাকৃতিক কিছু বলে মেনে নিতে চান। প্রতি মূহুর্তে মজার মজার টুইট লেখা হচ্ছে এই নিয়ে। কেউ বলছেন, আমরা বিশ্বাস করি প্রকৃতি মা’র  প্রাণ আছে। কেউ বলছেন, অপদেবতা খেলা করছে কাছে যেওনা। কেউ লিখেছেন, মানুষের অত্যাচারে প্রকৃতির নাভিশ্বাস উঠছে। কেউ লিখছেন এরকম ভয়ঙ্কর দৃশ্য তিনি আগে দেখেননি। যাই হোক, কপাল খুলে গেছে স্যাকরে-কোয়ের পার্ক কর্তৃপক্ষের। প্রচুর দর্শক আসছেন। তবে মানুষের ঢল নামলে পরিবেশের ক্ষতি হবে। সে ক্ষেত্রে  সত্যি সত্যিই প্রকৃতি মা’র নাভিশ্বাস যাতে না ওঠে সেদিকে কড়া নজরও  রাখছেন কানাডার কুইবেক অঞ্চলের  স্যাকরে-কোয়ের পার্ক কর্তৃপক্ষ।

You might also like