
কেরলের কান্নুরের এই মর্মান্তিক ঘটনায় মেয়ের মৃত্যুর ১১ দিন পরে তার বাবা (Father) এবং মসজিদের ইমামকে (Imam) গ্রেফতার করল পুলিশ। বাবার নাম আবদুল সাথার, বয়স ৫৫ বছর। ৩০ বছরের ইমামের নাম মহম্মদ উয়াইজ। পুলিশ জানিয়েছে, উয়াইজই আবদুলকে বুঝিয়েছিল, অসুস্থ ফতিমাকে হাসতাতালে না নিয়ে যেতে। সেটা নাকি ধর্মের ক্ষতি করা হবে।
সুইমিং পুলে সুব্রত-মুনমুনের জলকেলি ঝড় তুলেছিল বঙ্গজীবনে
কান্নুর জেলার পুলিশ প্রধান ইলাঙ্গো আর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা একজন সাক্ষীকে পেয়েছি। ইমামের এক আত্মীয় তিনি। উনি জানিয়েছেন ইমাম জোর করেই ফতিমার বাবাকে রাজি করিয়েছিল ডাক্তার না দেখাতে, হাসপাতালে না নিয়ে যেতে। আমরা এরকম প্রমাণও পেয়েছি, যে ওই ইমাম আগেও এমন কাজ করছে। এর আগে অন্তত আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে, তার কথা শুনে হাসপাতালে না গিয়ে।”
এর আগের চারবারই পার পেয়ে যায় সে। চার জনের মধ্যে তিন জন ছিল ফতিমার পরিবারেরই সদস্য। কিন্তু এইবার ১১ বছরের ছোট্ট মেয়ের এমন মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। পুলিশের কাছে ইমামের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান আবদুলের ভাই অর্থাৎ ফতিমার কাকা।
তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, এর আগে ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে তাঁর পরিবারের আরও তিন জন সদস্য মারা গেছেন একই ভাবে, বিনা চিকিৎসায়। এবারও তার একরত্তি ভাইঝি ফতিমা দিনের পর দিন ভুগছিল জ্বরে। কোনও চিকিৎসা হয়নি। উল্টে ইমামের কাছে নিয়ে গিয়ে তাকে জলপড়া করা হয়, শোনানো হয় কোরানের বাণী।
কাকার অভিযোগের ভিত্তিতেই ইমাম এবং আবদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, কেরলে কুসংস্কার-বিরোধী বিলের ড্রাফ্ট তৈরি হলেও, তা এখনও চালু হয়নি। মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকে এই বিল রয়েছে।