Latest News

শুক্রবার দুপুর দু’টোয় ফের কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কেন্দ্রীয় সরকার

দ্য ওয়াল ব্যুরো : ইতিমধ্যে সরকারের সঙ্গে সাত দফায় আলোচনায় বসেছেন কৃষকরা। কিন্তু তাতে খোলেনি জট। শুক্রবার অষ্টমবারের জন্য বৈঠকে বসবে দু’পক্ষ। কৃষক ইউনিয়নগুলি আগেই হুমকি দিয়েছে, তাদের দাবি যদি না মানা হয়, তাহলে প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ট্র্যাকটর মিছিল করবে। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষকরা বৈঠকে বসেন গত ৪ জানুয়ারি। সরকার কৃষকদের দাবিমতো কৃষি আইন বাতিল করতে রাজি হয়নি। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর কৃষক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের বলেছিলেন, আইন বাতিল করার জন্য তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন।

এদিন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বেলা দু’টো নাগাদ শুরু হবে বৈঠক। বৃহস্পতিবারই কৃষকরা দিল্লির সীমান্তে ট্রাকটর মিছিল বার করেন। এদিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাঞ্জাবের একাধিক বিজেপি নেতা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সুরজিৎ কুমার জ্ঞানী, হরজিৎ সিং গ্রেওয়াল ও বিজয় সাম্পলা। সুরজিৎ কুমার জ্ঞানী একসময় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ও হরজিৎ সিং গ্রেওয়াল দুজনেই বিজেপির কিষাণ কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁরা কৃষি বিল পাশ হওয়ার আগে কৃষকদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন। তারপর থেকে সিন্ধু দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। এইসব নিয়ে আলোচনার জন্যই গত মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁরা।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের সামনে হরজিৎ সিং গ্রেওয়াল বলেন, “মোদী অনেক কিছু জানেন। সব সমস্যার সমাধান হবে। ভাল কিছু হবে। কী কথা হয়েছে সে ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না, কিন্তু ভালই কিছু হবে। যখন ভাল কিছুর জন্ম হয় তখন সেটা নষ্ট হওয়ার ভয় তো থাকেই।

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে কৃষক বিক্ষোভ হচ্ছে তার নেতৃত্বে রয়েছেন পাঞ্জাবের কৃষকরাই। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংও। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন, কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার পরেই এই নতুন কৃষি আইন নিয়ে কিছু ভাবতে।

গত মাসে পাঞ্জাবে বিক্ষোভ চলাকালীন রিলায়েন্স জিও-র অনেক ফোনের টাওয়ার ভেঙে দেয় উত্তেজিত জনতা। সেই প্রসঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেন অমরিন্দর সিং। কিন্তু এই ঘটনায় তাঁর সরকারের বিরুদ্ধেই আঙুল তোলে বিজেপি। তারা বলে রাজ্যের কৃষকদের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই মুখ্যমন্ত্রীর। তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।

বিজেপির এই সমালোচনার জবাবে মুখ খোলেন অমরিন্দর সিংও। তিনি বলেন, এই ধরনের রাজনীতি না করে বিজেপির উচিত কেন্দ্রের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হওয়া। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি সরকারের খারাপ আইন নিয়ে আসার খেসারত তাঁর সরকারকে দিতে হচ্ছে।

You might also like