
আসন কমলেও উত্তরপ্রদেশে সরকার গড়তে পারে বিজেপিই
অ্যাক্সিসের সমীক্ষার দাবি, গোয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে নির্বাচিত হতে পারে কংগ্রেস। সরকার গঠনের খুব কাছাকাছি পৌঁছে যাবে তারা। কিন্তু সি-ভোটারের সমীক্ষার দাবি, গোয়ায় ত্রিশঙ্কু হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরকার গঠনের চাবিকাঠি থাকতে পারে তৃণমূলের (TMC) হাতে।
মোদী সরকারকে মোকাবিলা কীভাবে? মুখপাত্রদের নিয়ে কর্মশালা তৃণমূলের
গোয়া বিধানসভায় ৪০ টি আসন রয়েছে। অ্যাক্সিসের সমীক্ষা জানাচ্ছে, গোয়ায় কংগ্রেস পেতে পারে ১৫ থেকে ২০ টি আসন। তুলনায় বিজেপি জিততে পারে ১৪ থেকে ১৮ টি আসন। আর গোমন্তক পার্টি জিততে পারে ২ থেকে ৫ টি আসন। সেই সঙ্গে অন্যান্যরা জিততে পারে সর্বোচ্চ ৪ টি আসন।
কিন্তু সি-ভোটার জানাচ্ছে, গোয়ায় বিজেপি জিততে পারে ১৩ থেকে ১৭ টি আসন। কংগ্রেস ১২ থেকে ১৬ টি আসন জিততে পারে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবেই ৫ থেকে ৯ টি আসনে জিততে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের জোট। প্রসঙ্গত এই জোটে এমজিপি তথা মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টিও রয়েছে।
গোয়ায় কি খাতা খুলবে তৃণমূল, সংখ্যাগরিষ্ঠতার দৌড়ে এগিয়ে কংগ্রেস জানাচ্ছে সমীক্ষা
পর্যবেক্ষকদের মতে, গোয়ায় যদি সি ভোটারের সমীক্ষা প্রকৃত ফলাফলের সঙ্গে মিলে যায় তা হলে বুঝতে হবে যে তৃণমূলই সেখানে কিং-মেকার হয়ে উঠতে পারে। যা সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলকে আরও উচ্চতা দেবে। বাংলায় তৃণমূলের ঘরোয়া রাজনীতির জন্যও তা তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। কারণ, গোয়ায় তৃণমূলের রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ানোর নেপথ্যে মূল কারিগর হলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে দলের মধ্যে অনেকেরই অনেক অসন্তোষ রয়েছে। তাঁদের মতে, গোয়ায় বেকার শক্তিক্ষয় করছে তৃণমূল। অর্থের অপচয়ও হয়েছে সেখানে। কিন্তু সত্যিই যদি তৃণমূল সেখানে কিং-মেকার হয়ে ওঠে তা হলে অভিষেকের রাজনৈতিক মর্যাদা আরও বাড়বে বইকি। এখন অপেক্ষা শুধু ১০ মার্চের। বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনার পর ওই দিন চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে।