
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকালয়ে আটকে পড়া বুনো হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হল বন্যপ্রাণ শাখার গাড়ি। কোনওমতে দৌড়ে পালিয়ে ধেয়ে আসা হাতির দল থেকে বাঁচলেন মাল বন্যপ্রাণ শাখার গাড়িচালক মিঠুন দত্ত ও এক বনকর্মী। (Elephant Attack)
রবিবার সকাল থেকে লোকালয়ে আটকে পড়া হাতির দলকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতগুড়ি চা-বাগানের ডেমকাঝোড়া অঞ্চলে। জানা গিয়েছে কয়েক দিন ধরেই ন’টি হাতির একটি দল লাটাগুড়ি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে তারঘেরা জঙ্গলের দিকে যেতে চাইছিল। শাবক সহ ৬ টি হাতি আটকে পড়ে এই অঞ্চলে। দিনের শুরুতেই লোকালয়ে হাতি দেখতে ভিড় জমান মানুষ। (Elephant Attack)
এই সময়ে খাবারের খোঁজে হাতিগুলো কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায় এবং তারপর আশ্রয় নেয় এই এলাকারই একটি চা বাগান লাগোয়া জঙ্গলে। এলাকায় বনকর্মীরা থাকলেও সংখ্যায় ছিলেন হাতেগোনা। তাই প্রাথমিকভাবে তারা সাধারণ মানুষকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। হাতিদের দিকে পাথর ছুড়তে থাকেন মানুষ। সে সময় একটি হাতি ধেয়ে এসে বন দফতরের গাড়ির ওপর হামলা চালায়। বন দফতরের গাড়ির ড্রাইভার মিঠুন দত্ত কোনওমতে প্রাণে বাঁচেন। এরপরেই মাল থানার আইসি সুজিত লামার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরিবেশপ্রেমী সংস্থা স্পোরের তরফে শ্যামাপ্রসাদ পান্ডে জানান, ওই এলাকায় গত বছরও হাতির হানায় একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এবছর যাতে সেইরকম পরিস্থিতি না হয় তার জন্য তাঁরা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষকেও আরও বেশি সচেতন হতে হবে।
বন্যপ্রাণ শাখার রেঞ্জ অফিসার দীপেন সুব্বা জানান নটি হাতির মধ্যে তিনটি হাতিকে তাঁরা তারঘেরা জঙ্গল পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পেরেছেন। সন্ধ্যা নামার পর বাকি হাতিগুলোকেও তারঘেরা জঙ্গলের দিকে ড্রাইভ করা হবে।