Latest News

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে নির্বাচন কমিশনের রায় অচিরেই, শাসক জোটের বিধায়কদের ‘রেড এলার্ট’

দ্য ওয়াল ব্যুরো: লাভদায়ক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) বিরুদ্ধে যে কোনও দিন রায় ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রাজ্যের ক্ষমতাসীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা মু্‌খ্যমন্ত্রীর বিধানসভার সদস্যপদ খারিজের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে সরকার নিয়ে জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলায় জোটের সব বিধায়ককে রাজ্য থাকতে বলা হয়েছে। আজ রাঁচিতে জোটের বিধায়কদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। যাতে, হেমন্তের সদস্য পদ খারিজ হয়ে গেলে বিকল্প সরকার তৈরিতে বিজেপি কোনওভাবে সুযোগ না পায়।

৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএম-সহ শাসক জোটের বিধায়ত সংখ্যা ৫০। এরমধ্যে বড় শরিক জেএমএমের বিধায়ক ৩০ জন। ১৮ জন হলেন কংগ্রেসের। এছাড়া সিপিআই (এমএল) এবং এনসিপি-র একজন করে বিধায়ক রয়েছেন। ৩১ জন বিধায়ক রয়েছেন বিজেপি এবং তাদের সহযোগী দলের। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৪১ বিধায়কের সমর্থন।

ফলে বর্তমান সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক বাংলায় বিপুল টাকা-সহ গ্রেফতার হওয়ার পর জানা যায় বিজেপি সেখানে এমএলএ কিনে ঝাড়খণ্ডকে আর একটি মহারাষ্ট্র বানাতে চাইছে। যদিও এখনও স্পষ্ট হয়নি ঝাড়খণ্ডে তারা কাকে একনাথ শিন্ডে হিসাবে বেছে নিয়েছে।

তবে বিধায়ক কেনাবেচার বিষয়টি সামনে আসার পর পড়শি রাজ্যের শাসক জোট সতর্ক। বিধায়কদের নিয়ে সন্দেহ বেড়েছে। তাছাড়া হেমন্তের সদস্যপদ খারিজ হয়ে গেলে নতুন মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করতে হবে। জেএমএমের জন্য তা কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করবে।

হেমন্ত সোরেনের মামলা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানি শেষ হয়েছে গত ১২ অগস্ট। কমিশন এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। ফলে দুশ্চিন্তার মেঘ জমেছে হেমন্ত ও তাঁর দলে।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগটি কী? বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি রাঁচির অঙ্গরা ব্লকে নিজের নামে একটি পাথর-খনি লিজ নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর লিজ নেন তিনি। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে একজন জনপ্রতিনিধি এই ধরনের লাভদায়ক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না।

নির্বাচন কমিশন বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে হেমন্তকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়ে বলে কেন তাঁর সদস্যপদ খারিজ করা হবে না। সূত্রের খবর, হেমন্ত তাঁর আইনজীবী মারফৎ নথিপত্র, সুপ্রিম কোর্টের রায় ইত্যাদি পেশ করে দাবি করেছেন, খনি লিজ নেওয়াতে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন লঙ্ঘন হয়নি।

কিন্তু কেউই বুঝতে পারছেন না কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেবে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস তাদের বিধায়কদের ২৪ অগস্ট পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড ত্যাগ না করার নির্দেশ দিয়েছে। যাতে কোনও সংকটজনক পরিস্থিতির দেখা গিয়ে তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানী রাঁচিতে পৌঁছতে পারেন।

বিধানসভার স্পিকার রবীন্দ্র নাথ মাহতো এবং জেএমএম বিধায়ক নির্ল পূর্তীর কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলির একটি কর্মসূচিতে অংশ নিতে কানাডা যাওয়ার কথা ছিল। তাঁরা সেই সফর বাতিল করেছেন।

কংগ্রেস বিধায়ক দলের নেতা আলমগীর আলম বলেন, কমিশনের রায় যাই হোক না কেন, জোট সরকারই ক্ষমতায় থাকবে। জেএমএম-এর সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য অবশ্য দুশ্চিন্তার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৯-এর ২৯ ডিসেম্বর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিজেপি এই সরকারের পতন নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ ঠাকুর বলেন, পরিস্থিতি যাই দেখা দিক, ঝাড়খণ্ডে ইউপিএ জোট অটুট থাকবে।

পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ কার খোঁজে হাজারিবাগের হোটেলে হানা দিল আয়কর দফতর?

You might also like