
অর্থমন্ত্রক থেকে এদিন বলা হয়েছে, করোনার কোনও প্রতিষেধক নেই। এর ফলেই বাজারে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক অস্থিতিশীলতা। পুরোপুরি আনলক হওয়ার পরে অর্থনীতি আগের অবস্থায় ফিরবে কিনা, তা নির্ভর করছে আমরা এখন কী পদক্ষেপ নেব তাঁর ওপরে।
অর্থমন্ত্রকের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। খুব কৌশলের সঙ্গে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা হচ্ছে। গত মার্চেই সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বুঝতে পেরেছিল, অর্থনীতির গতি হয়ে পড়বে ধীর। সেকথা ভেবেই আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, অর্থনীতির পরিকাঠামোয় কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। কয়েকটি জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ তৈরি হবে। সরকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য এনেছে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ নামে এক প্যাকেজ। এর ফলে অতিমহামারীর সময় সংস্কার হবে দ্রুত।
অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, কোভিড ১৯ অতিমহামারীর জন্য অর্থনৈতিক কার্যকলাপ থেমে গিয়েছিল। এর ফলে এপ্রিল ও মে মাসে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে কম। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বিশ্ব জুড়ে অভুতপূর্ব সংকট চলছে। অতিমহামারীতে একের পর এক বিশ্বের ধনী দেশগুলি আক্রান্ত হয়েছে। চিনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। এরপর ওই রোগ ২০০ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব জুড়ে এক কোটির বেশি মানুষ ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন পাঁচ লক্ষের বেশি মানুষ।
ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখানে কেউ জানে না আগামী দিনে কী হবে। অতিমহামারীর ফলে কেউ আগামী দিনের জন্য কোনও পরিকল্পনা করতে পারছে না।
যে দেশগুলি করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁর মধ্যে ভারত আছে তিন নম্বরে। রবিবার সন্ধ্যায় আমাদের দেশ রাশিয়াকে অতিক্রম করে গিয়েছে। রাশিয়ায় এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৮০ হাজার। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯০ হাজার। ভারতের আগে আছে ব্রাজিল ও আমেরিকা। ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ। আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ লক্ষেরও বেশি।