
গতবার রবি ফাউলার পুরো লিগ শেষ করেছিলেন, কিন্তু দিয়াজ তাও পারলেন না। তিনি সরে গিয়েছেন ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে। মোট ৮টি ম্যাচে জয় নেই, তিনি কোনঠাসা হয়ে গিয়েছিলেন।
তার মধ্যে আদিল খানের সঙ্গে তাঁর বিতর্ক ভালমতন নেননি কর্তারা। গোয়ায় দলের সঙ্গে রয়েছেন সিইও শিবাজী সমাদ্দার। তিনি কথা বলেছিলেন কোচের সঙ্গে। আদিলকে কেন খেলানো হচ্ছে না, সেই নিয়ে প্রশ্ন করতে দিয়াজের ইগোতে লাগে। তিনি পত্রপাঠ বলে দেন, কোচিং করাবেন না।
𝐂𝐥𝐮𝐛 𝐬𝐭𝐚𝐭𝐞𝐦𝐞𝐧𝐭
SC East Bengal confirms that Jose Manuel Diaz and his deputy Angel Puebla Garcia have mutually agreed to part ways due to personal reasons.
Former India captain and our assistant coach Renedy Singh has taken over charge as interim head coach. pic.twitter.com/umt5MrJSDt
— SC East Bengal (@sc_eastbengal) December 28, 2021
একটি ম্যাচেও জয় পায়নি তাঁর কোচিংয়ে। চারটি ম্যাচে হার, চারটিতে ড্র। সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়েই সরলেন স্প্যানিশ কোচ। তাঁর নামে বড় অভিযোগ, তিনি দলের কম্বিনেশন গড়ে তুলতে পারেননি শুরু থেকেই। দলের সেরা প্রথম একাদশ বাছতে ব্যর্থ হয়েছেন। বারবার দল বদলে তিনি ফুটবলারদের হত্যোদম করে দিয়েছিলেন।
দলের কর্তারা তাঁকে বারবার বলেও তিনি কথা কানে দেননি। রাজু গায়কোয়াড প্রতি ম্যাচে ব্যর্থ, তারপরেও তাঁকে খেলিয়ে গিয়েছেন। বরং আদিলকে খেলাননি, এই নিয়েই বিতর্ক বড় আকার ধারণ করে। তার মধ্যে শুরু থেকেই তিনি দলের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে এসেছেন। বলেছিলেন, এই দল কোনও সময়ই জয় পাবে না।
কোচ কী করে এমন কথা বলতে পারেন, সেই নিয়েই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। দিয়াজ ম্যাচের কৌশলও বদলেছেন বারবারই। ফুটবলারদের পজিশন পালটে তাঁদের চাপে ফেলেছেন।
দিয়াজের যে চাকরি যাবে, সেটি নিশ্চিতই ছিল। হায়দরাবাদ ম্যাচে না হারলেও ড্র-ও কম অযোগ্যতার পরিচয় নয়। দিয়াজ বিদায়ে নতুন কোচ খোঁজা শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। দিয়াজের সহকারী ছিলেন রেনেডি সিং ও বাস্তব রায়। তাঁরা বর্তমানে দলকে চালাবেন। তারপর নতুন বিদেশী কোচ আনা হবে। নজরে রয়েছেন এলকো সাতোরি।