
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যতই হোক নিয়মরক্ষার ম্যাচ, তবু আজ যেন মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠল লাল-হলুদ মশাল। এদিন প্রথম থেকেই দুই দল নেমেছিল আক্রমণাত্মক মেজাজে। ম্যাচে ছিল গোলের বন্যা। দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও জয় প্রায় অধরাই থেকে যাচ্ছিল ইস্টবেঙ্গল শিবিরের (East Bengal)। কিন্তু কথায় আছে না, শেষ ভাল যার সব ভাল তার। এ ম্যাচে তাই হল। সৌজন্যে ক্লেটন সিলভা। ৮১ মিনিটের মাথায় জল তাঁর পায়ে লেগে বিপক্ষের জালে বল জড়াল, তখন বাঁধ ভাঙা আনন্দে মেতে উঠেছিলেন সমর্থকেরা।
এদিন শুরু থেকেই মাঠে জাঁকিয়ে বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড়রা। শেষ ম্যাচে তাঁরা তাঁদের সমর্থকদের জয় উপহার দেবে এই মন্ত্র নিয়েই মাঠে নামেন। এদিনের ম্যাচে নিরাশ সমর্থকদের নিরাশ করেননি ক্লেটন সিলভা থেকে শুরু করে সুমিত পাসি।
হ্যাঁ সেই সুমিত পাসি, যিনি ডার্বিতে লাল হলুদ সমর্থকদের কাছে খলনায়ক হয়ে গিয়েছিলেন, তিনিই আজ বুঝিয়ে দিলেন সেদিনেরটা নিছকই ভুল ছিল। যদিও সেই ভুলের মাশুল গুনতে হয়েছিল দল থেকে সমর্থক সকলকেই। তবে বলা চলে এদিনের ম্যাচে ডার্বির ভুলের প্রায়শ্চিত্তই যেন করলেন সুমিত। ম্যাচের ১৭ মিনিটের মাথায় মাঠের ডান দিকে থেকে বল নিয়ে উঠে পাসির অনবদ্য গোল এগিয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গলকে।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের গোল। ম্যাচের সময় বলছে তখন মাত্র ২২ মিনিট খেলা হয়েছে। ক্লেটন সিলভার দুর্দান্ত ডান পায়ের কাজ ২-০ গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। যদিও এই গোলের পাঁচ মিনিটের মাথায় গোল শোধ করে দেন মুম্বইয়ের জর্জ।
৩৪ মিনিটের মাথায় তৃতীয় গোল আসে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। যদিও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে দুটি গোলও শোধ করে দেন মুম্বই খেলোয়াড়রা। যখন বিরতির বাঁশি বাজান রেফারি তখন নিস্তেজ হয়ে গেছে গ্যালারি। লাল-হলুদ সমর্থকদের মনে উঁকি দিচ্ছে তখন একটাই প্রশ্ন, জয়ের স্বাদ পেয়েও কি ম্যাচ ড্র হবে? ভাবতে ভাবতেই শেষ হয়ে যায় ১৫ মিনিটের বিরতি।
৩-৩ স্কোর দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধ। গোটা দ্বিতীয়ার্ধ জুড়েই দুই দল যেমন অ্যাটাকে গেল, তেমনই ডিফেন্ড। তবে কে জানত ম্যাচের শেষে সমর্থকদের জন্য উপহার রেখেছেন সিলভা। ৮১ মিনিটের মাথায় অমরজিৎ কিয়ামের দুর্দান্ত পাসে মুম্বইয়ের জালে বল জড়িয়ে দেন ক্লেটন। আনন্দে মেতে ওঠেন লাল-হলুদ সমর্থকেরা।
ইডেনে নামছেন না সৌরভ! লেজেন্ড লিগে ব্যাট হাতে দেখা যাবে না বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে