
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহম্মদ আলি পার্কের পুজো মণ্ডপ তৈরির কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা পুরসভা। মহম্মদ আলি পার্কে একটি ভূর্গর্ভস্থ জলাধার রয়েছে। তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। (Durga Puja) পুজোর প্যান্ডেল হলে বহু লোকজনের সমাগম হবে। ফলে চাপ পড়তে পারে প্রাচীন ওই জলাধারে। তাই মণ্ডপের কাজ বন্ধ রাখতে হবে উদ্যোক্তাদের।
পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা মহম্মদ আলি পার্ক পরিদর্শনে যাবেন। তাঁরা খতিয়ে দেখবেন ভূগর্ভস্থ জলাধারটির পরিস্থিতি। সেখানে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল (Durga Puja) হলে তাতে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে কী না, তা খতিয়ে দেখার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা পুরসভা।
২০১৯ সালে পার্কের নীচে জলাধারটির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ররা। একটি ফাটল দেখা গিয়েছিল ইটের তৈরি ওই জলাধারে। তারপরই পার্কের ভেতরের পুজো সরে যায় বাইরে। বলা হয়েছিল,জলাধারটি ভেঙে পড়লে ধস নামতে পারে। তাই সেখানে পুজোর মতো বড় আয়োজন করা নিরাপদ নয়। এখনও সংস্কার হয়নি জলাধারের। যেকারণে ২০১৯ ও ২০২০ সালে পুজো সরে যায় সংলগ্ন ফায়ার ব্রিগেডে।
গতবছর মহম্মদ আলি পার্কে ঢোকার গেটের মুখে সামান্য একটু জায়গায় পুজোর (Durga Puja) অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবছর অনুমতি ছাড়াই পুজো উদ্যোক্তারা পার্কে ওই জলাধারের পাশে মণ্ডপ তৈরি শুরু করে। কিন্তু তা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভা জানিয়েছে, পার্কের ভেতরে মণ্ডপ তৈরির কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি।
পুরসভার বক্তব্য, জলাধারের অংশটি ছেড়েও যদি মণ্ডপ তৈরি করা হয়ে থাকে, তাও সেটা নিরাপদ নয়। ওই অংশে খুব বেশি চাপ তৈরি করা যাবে না।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, (Durga Puja) মণ্ডপ তৈরি করা যাবে না, এমনটা পুরসভা বলেনি। চিঠি দিয়ে আপাতত স্থগিত রাখতে বলেছে। মণ্ডপের ভেতরে কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। পার্কে ঢোকার প্রথম ধাপ থেকেই প্রতিমা দর্শন করতে হবে। পার্কে যাতে কোনও চাপ না পড়ে, সেরকমভাবেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।