
বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুটেদের গলি-তস্য গলি থেকে প্রতিমাকে বাঁশের উপরে চাপিয়ে মজবুত দড়ি দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া দেখতে স্থানীয়দের পাশাপাশি পথচলতি লোকজনও ভিড় জমিয়েছেন এদিন।
আরও পড়ুনঃ নয়াচরের বর্ণ পরিচয় স্কুল প্রাঙ্গনে বিদ্যাসাগরের কর্মাটাঁড়ের আমের চারা, পড়ুয়াদের পুজোর পোশাক
দক্ষতার সঙ্গে অত্যন্ত তৎপরতায় যাঁরা প্রতিমা শিল্পীর ঘর থেকে গাড়িতে তুলছেন, তাঁরা পুজোর মুখে নিজেদের ঘর ছেড়ে দু’ পয়সার আশায় সদ্য পা রেখেছেন কুমোরটুলিতে। ষষ্ঠী পর্যন্ত দম ফেলার সময় নেই তাঁদের। একটি সংস্থার তরফে তাঁদের টিশার্ট দেওয়া হয়েছে। যাতে লেখা ‘মা, শক্তি দিও বহিবারে।’
শিল্পীর ঘর থেকে গাড়িতে তুলে দেওয়াই নয়, গাড়ি থেকে ফের পুজো মণ্ডপে প্রতিমা নামানোর দায়িত্বেও থাকেন এরা। চক্র রেলের লাইনের ধারে অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে কয়েক পদ রান্না। কাজ না থাকলে তাস, আড্ডা। আবার ডাক পড়লেই বাঁশ-দড়ি নিয়ে তৈরি হয়ে যাচ্ছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত গ্রামের বিভূতি, সুজন, তাপসরা।
কুমোরটুলির প্রতিমা শিল্পীরা জানালেন, প্রতিমা মণ্ডপে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। এখন যেসব প্রতিমা মণ্ডপে যাচ্ছে, সেগুলির কিছুটা করে কাজ বাকি রাখা হয়েছে। মণ্ডপে প্রতিমা বসানোর পর বাকি কাজ শেষ হবে।
প্রতিমা শিল্পী অপূর্ব পালের কথায়, দু’-একটি করে প্রতিমা কুমোরটুলি থেকে বের হচ্ছে। যত দিন এগবে, সংখ্যা বাড়তে থাকবে। আমার তৈরি প্রতিমা অবশ্য মহালয়ার দিন থেকে বের হতে শুরু করবে। প্রতিমা যাঁরা শিল্পীর ঘর থেকে গাড়িতে তোলেন, তাঁরাও এসে গিয়েছেন।’
গঙ্গার ধারে চক্র রেলের লাইনের পাশে রান্না করতে করতে কথা বলছিলেন নীলু পান, সাধন মণ্ডলরা। সুন্দরবনে বাড়ি তাঁদের। জানালেন, জেলায় চাষের কাজ করেন। ধান রোয়ার কাজ শেষ হয়েছে। তাই কুমোরটুলিতে চলে আসা। ষষ্ঠীতে বাড়ি ফিরে যাবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু এখানে এসে তেমন কাজ মেলেনি। তাই ভাবছেন কালকের দিনটা দেখেই বাড়ি রওনা দেবেন।
পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা ‘সুখপাঠ’