
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চিকিৎসক (Doctor) সুবীর দাসকে মারধরের ঘটনায় এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রাইভেট চেম্বার (Chamber) বন্ধ করে দিলেন চিকিৎসকরা। ঘটনার জেরে নাজেহাল অবস্থা রোগী (Patient) ও তাঁদের পরিজনদের।
চিকিৎসকদের অভিযোগ, রবিবার রাতে সুবীরবাবুকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তাঁদের দাবি, গাড়ির ভিতর ঢুকে ওই চিকিৎসককে মারধর করেন কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন। সোমবার সন্ধ্যায় আলিপুরদুয়ার থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন নিগৃহীত চিকিৎসক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই অভিযোগের রিসিভ কপি দেয় নি থানা, এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন জেলা সদর হাসপাতালের চিকিতসকরা। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার জেলা হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক সজল ভট্টাচার্য্য, যুধিষ্ঠীর দাস সহ আরও অনেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানেই তাঁরা প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এমনকী, প্রয়োজনে অনশনেও বসতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দেন চিকিৎসকরা।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেসেহান কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন। তাঁর দাবি, ‘আমি আগেও বলেছি আমি মদ্যপ ওই চিকিৎসককে পুলিশ ডেকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। উনি মদ্যপ অবস্থায় অসংলগ্ন কথা বলছিলেন। ওঁকে কেউ মারধর করবেন এমন অবস্থায় ওই চিকিৎসক ছিলেন না। ঘটনাস্থলে বন দফতরের টহলদারি দল ছিল। এভাবে একজনের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা ঠিক নয়।’
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে নিগৃহীত চিকিৎসক সুবীর দাসের একটি ভিডিও নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল সেই ভিডিওতে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ির ভেতর বসে অসংলগ্ন কথা বলতে দেখা যাচ্ছে সুবীরবাবুকে। তাঁর গাড়ির চালককে রাস্তায় গড়াগড়ি খেতেও দেখা যায়। এরপরেই তাঁকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তার মধ্যেই চিকিৎসকরা প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ করে দেওয়ায় সকাল থেকেই প্রবল হয়রানির মুখে পড়েছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা।
মায়ের গর্ভের দুটি ভাগ, দুই ভাগ থেকে জন্মাল দুই সন্তান, বিরলতম অস্ত্রোপচার নদিয়ার হাসপাতালে