
স্থানীয় সূত্রের খবর, সিডি ব্লকের ৩১২ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা, ৪২ বছরের ওই চিকিৎসকের নাম জয় বসু। একাই থাকতেন তিনি। সোমবার বিকেলে তাঁর বাড়িতে এসে কলিং বেল বাজিয়ে সাড়া না পাওয়ায় প্রতিবেশীদের খবর দেন পরিচারিকা। প্রতিবেশীরাও এসে হাঁকডাক করেন, কিন্তু সাড়া মেলেনি চিকিৎসকের। তারপরেই পুলিশে খবর দেন তাঁরা।
পুলিশ এসে দরজা ভাঙলে বেডরুম থেকে উদ্ধার হয় চিকিৎসকের দেহ। দেহটি উদ্ধার করে বিধাননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এর পরেই মৃত ওই চিকিৎসকের আত্মীয়স্বজনের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। খোঁজাখুঁজির পরে তাঁর এক দিদির সন্ধান মেলে। কিন্তু তিনি আমেরিকায় থাকেন। তিনিও অন্য কোনও আত্মীয়ের খোঁজ দিতে পারেননি, যাঁর সঙ্গে জয় বসুর যোগাযোগ ছিল।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, চিকিৎসকের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। হতে পারে, আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তিনি। একাকীত্বের অবসাদে আত্মঘাতী হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। আবার সম্পূর্ণ অন্য কোনও কারণেও মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে তাঁর বলে মনে করছে পুলিশ।
কিন্তু কারণ যাই হোক না কেন, সল্টলেকের মতো অভিজাত এলাকায় এভাবে চিকিৎসকের মারা যাওয়ার ঘটনা আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিল নাগরিক সুরক্ষার।