
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ত্রিপুরায় তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করে ঠিক কাজ করেছে আগরতলা পুলিশ, এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সোমবার মর্নিং ওয়াকের সময়ে তিনি বলেন, “ওখানে গিয়ে চমকালে, ধমকালে এটাই হবে।’’
ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর ও তার আগে তৃণমূলের নেতানেত্রীদের ত্রিপুরা যাওয়া, খুনের চেষ্টার অভিযোগে সায়নী ঘোষের গ্রেফতার হওয়া– এই সবকিছু মিলিয়ে পুরভোটের আগে উত্তপ্ত ত্রিপুরা।
এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “পুলিশ ঠিকই করেছে। ওখানে গিয়ে চমকালে ধমকালে তো এরকমই হবে। ত্রিপুরার সভায় গিয়ে বলছে খেলা হবে! এত হিম্মত কী করে হয়? ওঁরা ভেবেছিল বাংলার পুলিশ। কিন্তু ত্রিপুরার পুলিশ ওঁরা। ওটা ডায়মন্ডহারবার বা কোচবিহার নয়।’’
শুধু তাই নয়, তাঁর ওপরেও একাধিকবার হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ ঘোষ নিজে। তিনি বলেন, “ওঁরা (তৃণমূল) কোন মুখে একথা বলতে পারছে! আমি স্টেট প্রেসিডেন্ট, আমার ওপরই দশবার অ্যাটাক হয়েছে। এখন ওদের চুনোপুঁটি নেতারা ইট, পাটকেল খেলে কেউ কষ্ট পাচ্ছেন কেন! ত্রিপুরার লোকরা যা ডেমো দিচ্ছে, খেলা শুরু হলে কী হবে আমি জানি না।”
‘জটায়ুকে দেখে একেনবাবু লিখিনি’, জানালেন স্রষ্টা! এবার বড়পর্দায় আসছেন একেন
গতকাল ত্রিপুরায় প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিল তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। ওইদিন সন্ধে সওয়া সাতটা নাগাদ আশ্রম চৌমহনী দিয়ে যাচ্ছিলেন সায়নী ঘোষ। ওই সময় সেখানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভা চলছিল। অভিযোগ সাদা স্কর্পিওতে চড়ে সায়নীরা ধেয়ে আসে বিপ্লব দেবের সভার দিকে। এতে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। আবার হিট অ্যান্ড রানের অভিযোগও আনা হয়।
এর পরে রবিবার তৃণমূল নেত্রী সায়নীকে আগরতলার থানায় ডেকে জেরা করে গ্রেফতার করার সময় থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ উঠেছে থানায় ঢুকে হামলা চালানোর। থানার বাইরে লাঠি হাতে, হেলমেট পরে বিজেপির দুষ্কৃতীরা জমায়েত করেছে বলে দাবি তৃণমূলের। আপাতত সায়নীকে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।