
তাঁর মতে, রাজনীতিতে অনেক কিছুই ঘটে, সুযোগ পেলেই অনেকে অনেক কিছু বলে। তাই তিনি ঠিক করেছেন, গাড়িতে কাউকে উঠতে দেবেন না। এমনকি তাঁর দফতরেও যদি কোনও মহিলা দেখা করতে আসেন, তখনও কোনও নিরাপত্তারক্ষী বা পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টকে তাঁর ঘরে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একলা কোনও মহিলার প্রবেশাধিকার নেই তাঁর ঘরে।
আমার মর্নিং ওয়াক এখন একটা ব্র্যান্ড, অনেকেই ফলো করছেন: দিলীপ
এসবই ‘সাবধানতা’ বলে জানালেন দিলীপ ঘোষ। যে কোনও রকম সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকার জন্যই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। রাজনীতিকদের দোষারোপ করা, বদনাম করার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তাই সে সুযোগ না দেওয়াই ভাল বলেই মনে করেন দিলীপবাবু। তাই বলে তিনি ‘নারীবিদ্বেষী’ নন বলেই দাবি করলেন দিলীপ। যদিও তিনি যে সংগঠন থেকে এসেছেন, অর্থাৎ আরএসএস, সেখানে মহিলা সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়নি তাঁর। মহিলাদের শাখা সেখানে আলাদা।
দেখুন কী বললেন দিলীপ ঘোষ।
পরিবারের লোকজন ছাড়া ছোটবেলার কোনও বান্ধবী বা সহপাঠিনীর কথা কি দিলীপ ঘোষের মনে পড়ে না! এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন, গ্রামে যে পরিবেশে বড় হয়েছেন, তাতে সংরক্ষণশীলতা ছিল বিপুল। তাই মেয়েদের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা করার সুযোগ হয়নি। ক্লাস টেনের পরে গ্রাম ছেড়ে দিয়েছেন। অন্যরাও কে কোথায় গেছেন, যোগাযোগ থাকেনি আর।
তবে এই এত দীর্ঘ জীবনে কোনও মহিলাকে দেখেই কি দিলীপ ঘোষের ভাল লাগেনি? অথবা কোনও মহিলারও কি দিলীপকে ভাল লাগেনি, কেউ কোনও প্রস্তাব দেননি? রক্তমাংসের মানুষের জীবনে প্রেম আসা তো অস্বাভাবিক নয়!
দিলীপবাবু অবশ্য এ প্রশ্নের উত্তরেও সংযমের কথাই বললেন। জানালেন, একটা ‘মিশন’ নিয়ে কাজ করেন তিনি, তাতে ভাল লাগা-না লাগা ব্রাত্য। তাই এই ব্যাপারে খুব সাবধান থাকেন। এমনকি যখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কোনও ইঙ্গিত পেয়েছেন প্রেমের, তখনই যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছেন, দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন। সামাজিক অনুষ্ঠান এমনিতেই বরাবরই এড়িয়ে চলেন, এসব কারণেই। দলের নেতাদের পারিবারিক অনুষ্ঠানেও কম যান। তিনি মনে করেন, ওই সময়ে দুটো মিটিং করা হয়ে যাবে। তিনি এরকম করেই ভাবেন।
কিন্তু সারাদিনের শেষে এত কাজ করে বাড়ি ফেরেন, দিলীপ ঘোষ কি কখনও সঙ্গিনীর অভাব বোধ করেন না? রাজ্য বিজেপির সদ্য প্রাক্তন সভাপতি জানালেন, সঙ্গী-সঙ্গিনীর অভ্যেস নেই তাঁর। বাড়িতে তিনি থাকেন, নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন। কোনও মহিলা থাকেন না। নিজের সব কাজ নিজেই করেন দিলীপবাবু। এ ব্যাপারে তিনি স্বনির্ভর। তাঁর কখনও কারও প্রয়োজন আছে বলে মনেই হয়নি। বরং অন্যদের কাজকর্মও করে দিতে পারেন অনায়াসে।