
জিন্নার মূর্তি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিল বালোচ সন্ত্রাসবাদীরা, দায় স্বীকার
এদিন যদুবাবুর বাজার এলাকায় দিলীপ ঘোষের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। তৃণমূলক্ররমীরা বিজেপি কর্মীদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় তুলকুলাম কাণ্ড বাঁধে ওই এলাকায়। ধাক্কাধাক্কিতে এক বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হন। এদিন মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘‘আমি প্রচারে গেলে আমাকে চার দিক দিয়ে ঘিরে আক্রমণ করে তৃণমূলের গুন্ডারা। বাধ্য হয়ে ভয় দেখতে আমার নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক বার করেন। এক ঘণ্টা আগে আমাদের সাংসদ অর্জুন সিং প্রচারে গেলে তাঁকেও ধাক্কাধাক্কি করা হয়। তাঁকে নিরাপত্তারক্ষীরা বার করে নিয়ে যেতে বাধ্য হন। এর আগে প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকেও আক্রমণ করা হয়েছে। রাজ্য সভাপতিকেও বাধা দেওয়া হয়েছে। এত ভয় দিদিমণির?’’
দিলীপ আরও বলেন, ‘‘আমরা আগে থেকেই পুলিশকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ সহযোগিতা করেনি। একজন পুলিশ সুপার পদাধিকারী আমাদের বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। হেরে যাওয়ার ভয়ে তৃণমূল এ সব করছে। নির্বাচন কমিশনকে আমরা বার বার জানিয়েছি। কিন্তু কমিশন সুরক্ষার কোনও ব্যবস্থা করেনি।’’
ভবানীপুরে ঠিক কী ঘটেছে, কেন দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করতে হল তা রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিনই ছিল প্রচারের শেষ দিন। দফায়দফায় যদুবাবুর বাজারে সোমবার সকালে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তাঁদের বক্তব্য, ভবানীপুরে বড় প্রচার হচ্ছে না। সব দলই অল্প লোক নিয়ে ছোট ছোট দলে প্রচার সারছেন পাড়ায় পাড়ায়। এদিন প্রচারের শেষ লগ্নে কুরুক্ষেত্র বাঁধল যদুবাবুর বাজারে। যা নিয়ে ভোট স্থগিত করার দাবি তুললেন দিলীপ।