
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্য রাজনীতিতে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বরাবরই ঠোটকাঁটা কথার জন্য পরিচিত। পষ্টাপষ্টি কথা বলেন, এবং তা বলতে গিয়ে কখনও কখনও শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে যায়, তবু অনড় থাকেন দিলীপ। এজন্য বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির যেমন সমালোচক রয়েছেন, তেমনই জনপ্রিয়তাও কম নেই। তাঁর এই কথার জন্যই বাংলার বাইরে তথা প্রবাসে থাকা বাঙালিরাও দিলীপকে ভাল করেই চেনেন।
এহেন দিলীপ ঘোষকে বিজেপি পাঠিয়েছিল দিল্লিতে পুরভোটের (Delhi Municipal Election) প্রচারে। দিলীপবাবু লোকসভার সাংসদ। সেই সঙ্গে সর্বভারতীয় বিজেপির সহ সভাপতি। তাঁকে বেছে বেছে দক্ষিণ, পশ্চিম ও পূর্ব দিল্লির বাঙালি মহল্লাগুলোতে প্রচারে পাঠানো হয়েছিল। প্রথমে নয়াদিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে গিয়ে সভা করেন দিলীপ। পরদিন ছিল পূর্ব দিল্লিতে অশোকনগরে মালদা বাজারে পথ সভা।
কিন্তু সেখানে পৌঁছে দিলীপ দেখেন পার্টির লোক কেউ নেই। জমায়েত অনেক পরের কথা। শুধু দেখেন দলের এক কর্মী গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। দিলীপ তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘কী হল, কেউ নেই কেন?’ সেই কর্মী জবাবে বলেন, একটু অপেক্ষা করুন, লোকজন চলে আসবে।
সে কথা শুনে দিলীপ ঘোষ বলেন, আরে দূর! চলুন বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করি। লোক এমনিতেই জড়ো হয়ে যাবে। এ কথা বলেই মালদা বাজারের মধ্যে হাঁটা লাগান দিলীপ। বাজারে তখন কমবেশি লোকজন ছিল। পথচলতি এক ভদ্রলোক দিলীপকে দেখে তাঁর পাশের লোকটিকে বলেন, “আরে দেখ, এই লোকটাকে দিলীপ ঘোষের মতো দেখতে না?” অদূরে এমন কানাকানি দিলীপের কানেও পৌঁছে যায়। শুনে দিলীপ ওই ভদ্রলোকের উদ্দেশে বলেন, আরে দেখতে আবার কী! আমিই দিলীপ ঘোষ!
দিলীপের মুখে এ কথা শুনে ওই ভদ্রলোক কিছুটা লজ্জায় পড়েন, হতভম্ভও হয়ে যায়। তবে দিলীপ ঘোষ নির্বিকার। হাতজোড় করে বলেন, আমাদের ভোটটা দেবেন কিন্তু। ভুলবেন না। এ কথা বলে পা বাড়ান দিলীপ। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে চলে তাঁর সেই জনসংযোগ।
বিজেপি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তায় টাকা-বন্দুক ঢোকাচ্ছে বাংলায়, বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার