
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার থেকেই হলদিয়া উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে সেখানে শুরু হয়ে গেছে হলদিয়া মেলা (Haldia Mela)। সেই মেলায় তৃণমূলের রাজ্য স্তরের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ডাকা হয়নি হলদিয়ার তৃণমূল সাংসদ তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে (Dibyendu Adhikari)। ডাক পাননি হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলও। সেই নিয়েই এখন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
হলদিয়া মেলা আয়োজন করা হয়েছে সরকারি উদ্যোগে। সেখানেই কিনা বাদ তৃণমূল (TMC) সাংসদ? দিব্যেন্দু তৃণমূলের টিকিটে জেতা সাংসদ হলেও দীর্ঘদিন ধরেই দলের সঙ্গে বিশেষ সখ্য নেই তাঁর। দলীয় সাংসদদের বৈঠক কিংবা তৃণমূলের অন্যান্য কর্মসূচিতেও বিশেষ ডাক পান না তিনি। হলদিয়া সংহতি ময়দানে আয়োজিত মেলাতে ফিরহাদ হাকিম, শশী পাঁজা, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূল শিবিরের রাজ্য স্তরের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও সেখানেও ব্রাত্যই রয়ে গেলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, ‘কোনওদিনই আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ওরা হয়তো ভেবেছে আমি গেলে ওদের অস্বস্তি বাড়তে পারে। ডাকেনি বলে কোনও দুঃখ নেই,’ দাবি সাংসদের। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি মানুষের পাশে থাকেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে না হোক, সাধারণ একজন মানুষ হিসেবেই মেলায় যাবেন তিনি। এমনকী, আমজনতার সঙ্গে মিশে ঘুগনি খাওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতার ভাই।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের পাল্টা প্রশ্ন , উনি কোন সংসদীয় গণতন্ত্র পালন করেছেন? হলদিয়া উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৃণমূল নেতা জ্যোতির্ময় কর জানিয়েছেন, এর আগেও দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে, এমনটা তিনি দেখেননি।
আমন্ত্রণ পাননি হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলও। এই প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁর দাবি, ‘তৃণমূলের কালচারটাই এরকম।’ ‘পশ্চিমবঙ্গে যে সরকার চলছে সেটা আসলে সরকার নয়। সরকারের চেয়ারে বসে একটা রাজনৈতিক দল সরকার পরিচালনা করছে। আমাদের সম্মান জানানো এরা প্রয়োজন মনে করে না,’ দাবি বিজেপি বিধায়কের।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে হলদিয়া মেলা। কিন্তু শুরুর দিনেই আমন্ত্রণ জানানোকে ঘিরে শুরু হল বিতর্ক।
হেডস্যার রাঁধুনির সঙ্গে লুডো খেলেন, স্কুলে রাতও কাটান! রেগে আগুন অভিভাবকরা