
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজ, বৃহস্পতিবার কালীঘাটে (Kalighat) ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু (Death) হয়েছে তেরো বছর বয়সী এক কিশোরের (Teenager)। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কলকাতা পুরসভার (KMC) ভূমিকা নিয়ে। মশার দৌরাত্ম বাড়ছে। একথা কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে জানিয়েছিলেন কালীঘাটের ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর মুখোপাধ্যায়।

গতমাসের অধিবেশনে প্রবীরের বক্তব্য ছিল, কালীঘাটে স্কাইওয়াক তৈরির কাজের জন্য জল জমছে। যেকারণে বাড়ছে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, পুরসভা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
বিষয়টিতে এদিন পুরসভার মেয়র পরিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানান, স্কুল পড়ুয়া ওই বালকের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। বেসরকারি হাসপাতাল ডেথ সার্টিফিকেটে ‘ডেঙ্গু শকে’র উল্লেখ করেছে। কালীঘাটে একটা উন্নয়ন মূলক কাজ চলছে। স্বাস্থ্য বিভাগের ভেক্টর কন্ট্রোল টিমও কাজ করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, যে বালকটি মারা গেছে তার বাড়ির সামনে পুরসভার চিকিৎসা কেন্দ্র ছিল। তা সত্ত্বেও ৫ দিন পর শিশু কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ৫ দিনের আগে হাসপাতালে রিপোর্ট জমা পড়েনি।
তিনি আরও জানান, বিষয়টিতে পুরসভার গাফিলতি আছে কী না, খতিয়ে দেখা হবে। কাল, শুক্রবার চিফ ভেক্টর কন্ট্রোল অফিসার ঘটনাস্থলে যাবেন। যদি কারও গাফিলতি থাকে, তাহলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘বর্ষাকাল ডেঙ্গির প্রাইম টাইম। ডেঙ্গু হবে না, এটা গ্যারান্টি দিয়ে বলা সম্ভব নয়। এই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁটিয়ে দেখা হবে।’
বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সেন্ট হেলেন স্কুলের পড়ুয়া বিশাখের মৃত্যুতে এলাকাতেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই দায়ী করছেন এলাকার মশার সমস্যাকে। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রবীর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বহু পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। যেগুলির শরিকি সমস্যার কারণে পুরসভা সাফাই করতে পারছে না। জঞ্জাল-জল জমে মশা বাড়ছে। বিষয়টিতে গত মাসিক অধিবেশনেও আলোকপাত করেছিলেন তিনি।
মিড-ডে মিলে ফ্রায়েড রাইস, ইলিশ ভাপা! এলাহি আয়োজন পশ্চিম মেদিনীপুরের স্কুলে