
হু-র মুখপাত্র আহমেদ অল মানধারি বলেন, “যাঁরা নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে, তাঁদের বেশিরভাগই টিকা নেননি।” হু-র হিসাবমতো, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ অবধি পশ্চিম এশিয়ায় টিকা নিয়েছেন মাত্র ৪ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ। তাঁরা ওই অঞ্চলের মোট বাসিন্দার ৫.৫ শতাংশ মাত্র। সেখানে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৫ শতাংশ। মৃত্যুর হার বেড়েছে ১৫ শতাংশ। এখন পশ্চিম এশিয়ায় রোজ আক্রান্ত হচ্ছেন ৩ লক্ষ ১০ হাজার মানুষ। মারা যাচ্ছেন ৩৫০০ জন। উত্তর আফ্রিকার দেশগুলির মধ্যে কোভিডে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে তিউনিসিয়ায়।
কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে ভারতেও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন সপ্তাহে কোভিড গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। কেরল, মহারাষ্ট্র সহ ৬ জেলায় সংক্রমণের হার বেশি। গাণিতিক হিসেব বলছে, আর-নম্বর ফের ১-এর কাছাকাছি চলে এসেছে। দেশের কয়েকটি রাজ্যে আর-নম্বর একের বেশি।
আর-নম্বর হল এমন এক গাণিতিক হিসেব যার দ্বারা কোভিডের সংক্রমণের হার কতটা বাড়ছে ও কমছে সেটা বোঝা যায়। শুধু তাই নয়, করোনা আক্রান্তদের থেকে কতজন সুস্থ মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে তারও হিসেব বের করা যায়। গত ১৫ মে থেকে ২৬ জুন অবধি আর-নম্বর কমে গিয়ে ০.৭৮ পয়েন্টে স্থির হয়। আর এখন এই নম্বরই ফের বেড়ে হয়েছে ০.৯৫। মহারাষ্ট্রে আর-নম্বর একের কাছাকাছি, কেরলে ১.১। কাজেই উদ্বেগ এখনও কমেনি বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অব ম্যাথেমেটিক্যাল সায়েন্সের গণিতজ্ঞ সীতাভ্র সিনহা বলছেন, মার্চ-এপ্রিলে এই আর-নম্বর হুড়মুড়িয়ে বেড়েছিল। তাই বেড়েছিল কোভিড পজিটিভ ও কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। এরপরে জুন মাস নাগাদ এই আর-নম্বর ফের কমে যায়। আশার ক্ষীণ আলো দেখেন গবেষকরা। কিন্তু এখন আবার এই গ্রাফ বাড়তে দেখা গেছে। বৃদ্ধি সামান্যই, তবে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিজ্ঞানীরা। তাই ফের একবার সতর্ক করা হচ্ছে দেশবাসীকে।