Latest News

দিল্লির মেয়র নির্বাচন ফের ভেস্তে গেল, আবার নতুন তারিখের অপেক্ষা

দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লির মেয়র নির্বাচন ফের (Delhi mayoral election) ভেস্তে গেল আম আদমি পার্টি (AAP) ও বিজেপির (BJP) কাউন্সিলরদের লাগাতার বিক্ষোভ ও গোলমালের জেরে। দিল্লির উপ রাজ্যপালের মনোনীত প্রিসাইডিং অফিসার তুমুল গোলমালের মুখে আজকের মতো অধিবেশন স্থগিত করে দেন। তার আগে আপের কাউন্সিলরদের সঙ্গে তাঁর তুমুল গোলমাল হয়।

উপ রাজ্যপাল অল্ডারম্যান অর্থাৎ আগের বোর্ডের মনোনীত পারিষদের ভোট দেওয়ার অধিকার দিয়েছেন। আপ কাউন্সিলররা তাঁদের ভোটদানে বাধা দেন। আবার উপ রাজ্যপালের মনোনীত আপ বিধায়কদের আজ সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন প্রিসাইডিং অফিসার। তাঁরা বেশি গোলমাল করছিলেন বলে অভিযোগ। তুমুল গোলমালের জেরে ভোট গ্রহণ প্রথমে বন্ধ রাখা হয়। পরে আজকের মতো অধিবেশন স্থগিত করে দেন প্রিসাইডিং অফিসার। ফের উপ রাজ্যপাল নতুন তারিখ ঘোষণা করবেন। তার আগে পুর নিগমের কমিশনার নতুন তারিখ ঠিক করে কেন্দ্রের নগরোন্নয়ন মন্ত্রককে জানাবে। তারা মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ রাজ্যপালের সম্মতি নিয়ে নতুন দিন নির্ধারণ করবে। তারপর উপ রাজ্যপালের নামে জারি হবে মেয়র নির্বাচনের নতুন তারিখ।

দিল্লির পুরনিগমের ভোট হয়েছিল গত বছর ৩ ডিসেম্বর। ৭ ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু দু-মাস পরও দেশের রাজধানীর মেয়র পদ ফাঁকা। আগে দু’বার মেয়র নির্বাচন ভেস্তে যাওয়ায় সোমবার ফের ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু আজও আগের দু’বারের পুনরাবৃত্তি হয়েছে।

হিসাব মতো ২৫০ ওয়ার্ডের দিল্লি পুরনিগমে আম আদমি পার্টি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। তারা পেয়েছে ১৩৪ ওয়ার্ড। অন্যদিকে, বিগত পনেরো বছর পুরনিগম শাসন করা বিজেপি পায় ১০৪টি ওয়ার্ড। ফলে দু’দলের কাউন্সিলর সংখ্যায় বিস্তর ফারাক আছে।

কিন্তু মেয়র, ডেপুটি মেয়র পদের জন্য আলাদা ভোট হয়ে থাকে। ওই পদে কোন দলের প্রার্থী বসবেন তার সঙ্গে কাউন্সিলর সংখ্যার কোনও সম্পর্ক নেই। আর এই সুযোগেই আগের দু’বার মেয়র, ডেপুটি মেয়র নির্বাচনের ভোটাভুটি ভেস্তে গিয়েছিল আপ ও বিজেপি কাউন্সিলরদের হাতাহাতি, মারামারিতে। আজও তার অন্যথা হল না, যা নজিরবিহীন ঘটনা। দেশের কোথাও এই ভাবে মেয়র, ডেপুটি মেয়র নির্বাচন ভেস্তে যায়নি।

বিবাদ আরও বাড়িয়ে তুলেছেন উপ রাজ্যপাল বিকে সাক্সেনা। তিনি আগের বোর্ডের অল্ডারম্যানদের মেয়র, ডেপুটি মেয়র নির্বাচনে ভোটদানের সুযোগ করে দিয়েছেন। এছাড়া, উপ রাজ্যপালের মনোনীত বিধায়ক ও সাংসদেরাও ভোট দিতে পারবেন। এরফলে আপ ও বিজেপির শক্তির ফারাক অনেকটা কমে এসেছে।

এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই বিজেপি মেয়র নির্বাচনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের কার্যকলাপ থেকে স্পষ্ট দেশের শাসক দল রাজধানীর মেয়র পদ হাতছাড়া করতে চায় না।

আপের বক্তব্য, বিজেপির উদ্দেশ্য গোলমাল করে আপের কিছু ভোট বাতিল করিয়ে নিজেদের মেয়র প্রার্থীকে জিতিয়ে নেওয়া।

অনেক টাকা পাচার হয়েছে, সিবিআই করছেটা কী, তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতি বসুর

You might also like