Latest News

৩১ রাতে তরুণীর ছেঁচড়ে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার গাড়ির মালিক, পলাতক আরও এক

দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লির সুলতানপুরীতে অঞ্জলি সিংকে গাড়ির তলায় ছেঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় (Delhi hit and drag case) আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার (6th accused arrested) করল পুলিশ। জানা গেছে, ধৃতের নাম আশুতোষ, সেই ওই ঘাতক ব্যালেনো গাড়িটির মালিক। বর্ষবরণের রাতের মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল সে। আঝ, শুক্রবার ধরা পড়ল সে।

এই দুর্ঘটনায় এই নিয়ে মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। পাঁচ জনকে ইতিমধ্যেই আদালতে তোলা হয়েছিল গতকাল, বৃহস্পতিবার। তাদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এর পরে গ্রেফতার হল ষষ্ঠজন। তবে এক জন এখনও ফেরার বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তার নাম অঙ্গুশ। তার খোঁজেও তল্লাশি চলছে।

৩১ ডিসেম্বর গভীর রাতে স্কুটিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন ২০ বছরের অঞ্জলি সিংহ। সুলতানপুরী এলাকায় তাঁর স্কুটিতে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। অঞ্জলি পড়ে গিয়ে গাড়ির তলায় আটকে যান। অভিযোগ, ওই অবস্থাতেই তাঁকে ছেঁচড়ে প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা এগিয়ে যায় ঘাতক গাড়িটি। তার পরে অঞ্জলির দেহ ফেলে রেখে পালায় অভিযুক্তরা।

৩১ রাতের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরে দিল্লির মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজে তরুণীর দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। জানা যায়, মাথার খুলি ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। ব্রেনের খোঁজই মেলেনি, ছিটকে বেরিয়ে গেছে মাথা থেকে। মেরুদণ্ড ভেঙে চুরমার। কোমরের হাড় ভাঙা। হাত, পায়ের হাড় ভাঙা। বুকের হাড় অর্থাৎ রিব ভেঙে, বুক ও পিঠ দিয়ে গেঁথে বাইরে বেরিয়ে গেছে। গোটা দেহটা কাদা-মাটিতে দলাপাকানো অবস্থায় মিলেছে। এক চিকিৎসকের কথায়, ‘অঞ্জলির ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে আমরাই চমকে উঠেছি। মাথার খুলিটা পুরো খুলে ঝুলছিল। দেহের সমস্ত হাড় প্রায় গুঁড়িয়ে গেছে। ফুসফুস ফুটো করে দিয়েছে বুকের ভাঙা হাড়। ওর মস্তিষ্ক ছিলই না।’

এক-দু’পাতা নয়, আট পাতার এই রিপোর্টে মোট চল্লিশটি ভয়াবহ আঘাতের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া রয়েছে। কোনও কোনও আঘাত আবার ভাল করে বিশ্লেষণও করা যায়নি, কারণ কাদা-মাটি লেপে দলা পাকিয়ে গিয়েছে মাংস, ছেঁচড়ানোর জন্য জ্বলেপুড়েও গিয়েছে দেহের বহু জায়গা।

রিপোর্টে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই আঘাতগুলির কারণেই মারা গিয়েছেন অঞ্জলি। ভোঁতা আঘাতের চিহ্ন সারা শরীর জুড়ে। গাড়ির চাকায় আটকে প্রচণ্ড গতিতে ১২ কিলোমিটার পথ ছেঁচড়ে যাওয়ার ফলেই এই নৃশংস পরিণতি বলে স্পষ্ট করা হয়েছে রিপোর্টে।

১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই আমাজনে! বছরের গোড়ায় দুঃসংবাদ, বিশ্বজুড়ে থাবা বসাচ্ছে আর্থিক মন্দা

You might also like