
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিন তলা বাড়িটিতে বিভিন্ন সংস্থার অফিস ছিল (Delhi Fire)। দিল্লি পুলিশ জানাচ্ছে, কোনও কোম্পানিই দমকল বিভাগের কাছ থেকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি) নেননি। গোটা বাড়িতে কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। সব জেনেও অনুমতিপত্র না নিয়েই এতগুলো অফিস চলছিল বাড়িটিতে।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সমীর শর্মা বলছেন, বাড়িটি যাঁর নামে সেই মণীশ লাকরা পলাতক। অফিসকে লিজ দেওয়ার আগে বাড়ির অনেক কাজই অসম্পূর্ণ ছিল। এমনকি ওই বাণিজ্যিক ভবনের বেশির ভাগ অফিস দমকল বিভাগের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র নেয়নি। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই জেনেও তার জন্য আবেদন করা হয়নি। প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা না মেনেই এতদিন ধরে কাজ চলছিল বাড়িটিতে। বাড়ির আরও দুই মালিক হরিশ গোয়েল ও বরুণ গোয়েলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বাড়ির নীচে একতলায় যেখান থেকে আগুন ছড়িয়েছে (Delhi Fire) সেখানে সিসিটিভি ও ইন্টারনেটের রাউটার তৈরির অফিস ছিল। মনে করা হচ্ছে, সেখানেই আগুন লাগে। তারপর আগুনের লেলিহান শিখা গোটা বাড়িটাকেই গ্রাস করে।

সূত্রের খবর, মেট্রো স্টেশনের ৫৪৪ নম্বর পিলারের কাছে প্রথম আগুন দেখা যায়। প্রথমে ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে আরও ২৪টি ইঞ্জিন পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পুলিশ জানাচ্ছে, যে সময় আগুন (Delhi Fire) লাগে সেই সময় বাড়ির দোতলায় একটি অনুষ্ঠান চলছিল। অনেকেই সেখানে ছিলেন। আগুন এত দ্রুত একতলা থেকে দোতলায় ছড়িয়ে যায় যে বেশিরভাগই বের হতে পারেননি। প্রাণ বাঁচাতে অনেককেই বাড়ির তিন তলা থেকে ঝাঁপ দিতে দেখা যায়। দড়ি ফেলে নামার চেষ্টাও করেন অনেকে। স্থানীয়রা অনেককে উদ্ধারও করেন।
Delhi Fire: কেউ ঝুলছেন জানলা থেকে, কেউ আঁকড়ে ধরেছেন ক্রেন, এখনও নিখোঁজ অনেকে
দমকল জানাচ্ছে, তারা বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ আগুনের খবর পেয়েছিলেন। এর পরে ৩০ টিরও বেশি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে গোটা বাড়িটাই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।