
গত ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের তরফে গত রবিবার বলা হয়, ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় উমর খালিদ ছিলেন অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী। রাজধানীর পুলিশের আরও বক্তব্য, হিংসার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আম আদমি পার্টির কাউন্সিলর তাহির হুসেনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ ছিল উমর খালিদের। দু’জনে মিলে শলাপরামর্শ করেছিল, হিংসাকে আরও বাড়াতে ভূমিকা নিয়েছিল।
সে সময়ে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলেছিল দিল্লিতে। সেখানে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ দায়ের হয় উমর খালিদের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় রবিবার উমর খালিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। সকাল থেকে টানা ১১ ঘণ্টা জেরার পর, গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল।
উমর খালিদের বিরুদ্ধে জমা করা চার্জশিটে ১১ লক্ষ পাতার নথি জমা করেছে পুলিশ।
এর পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উমরকে দিল্লির আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁর পুলিশি হেফাজত দেন। অতিরিক্ত দায়রা জজ অমিতাভ রাওয়াত এদিন বলেন, এই মামলা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য আদালতে তুলে ধরা হয়েছে। প্রযুক্তিগত ডেটা ও অন্যান্য বিষয়গুলো জানতে উমর খালিদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের প্রয়োজন আছে। এর পরে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে।
এই দশ দিন খালিদ প্রতিদিন তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে আধ ঘণ্টা করে কথা বলতে পারবেন বলে মঞ্জুর করেছেন বিচারক। সে সময়ে পুলিশ উপস্থিত থাকতে পারবে না।দিল্লির স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটর অমিত প্রাসাদ জানান, উমর খালিদের মোবাইল ফোন থেকে ৪০ জিবি ডেটা বার করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
উমর খালিদের গ্রেফতারের ঘটনায় মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, হিংসার অভিযোগে মুসলিমদের অন্যায় ভাবে টার্গেট করছে পুলিশ। উমর খালিদ হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির শিকার হয়েছেন।
এর আগেও ২০১৬ সালে উমর খালিদকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার সঙ্গে ভারতবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় কানহাইয়া কুমারকেও। পরে দুজনেই জামিনে মুক্তি পান।