
রাজধানীতে এখন বিয়েবাড়িতে সর্বাধিক ৫০ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন। শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে পারবেন ২০ জন। সিনেমা, পানশালা ও রেস্তোরাঁয় যত আসন আছে, তার অর্ধেক সংখ্যক উপস্থিত থাকতে পারবেন। গণ পরিবহণেও যত আসন আছে তার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে। যে সুইমিং পুলগুলিতে সাঁতারুরা নানা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রশিক্ষণ নেন, শুধু সেগুলি খোলা থাকবে। স্টেডিয়ামে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হতে পারে, কিন্তু দর্শক থাকা চলবে না। সরকারি অফিসে মোট কর্মীর অর্ধেক উপস্থিত থাকবেন। তবে গ্রেড ওয়ান অফিসাররা সকলে উপস্থিত হবেন। স্বাস্থ্য, পুলিশ, হোমগার্ড, সিভিল ডিফেন্স, দমকল ও আপৎকালীন পরিষেবায় যে কর্মীরা কাজ করেন, তাঁদের সকলকে অফিসে আসতে হবে।
মহারাষ্ট্র থেকে যাঁরা বিমানে দিল্লিতে আসবেন, তাঁদের নেগেটিভ আরটি-পিসিআর রিপোর্ট দেখাতে হবে। সেই টেস্ট করাতে হবে রওনা হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। মহারাষ্ট্র থেকে যাঁরা নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট ছাড়াই আসবেন, তাঁদের ১৪ দিন কোয়ারান্টাইন করে রাখা হবে।
শনিবার বিকালে জানা গেল, দিল্লিতে তার আগের ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮৯৭ জন। রাজধানীতে এখন পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের বেশি। গত ২৩ নভেম্বরের পরে এই প্রথম দিল্লিতে এত বেশি সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলেন। শহরে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষের বেশি।
শুক্রবার দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হন ৮৫০০ জন। চলতি বছরে ওইদিনই রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অতিমহামারী শুরু হওয়ার পরে রাজধানীতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছিল ১১ নভেম্বর। সেদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৫৯৩।
এদিন দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে রাজধানীর কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পরে তিনি বলেন, নভেম্বরে দিল্লিতে থার্ড ওয়েভ দেখা দিয়েছিল। তখন ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সাফল্যের সঙ্গে অতিমহামারীর মোকাবিলা করেছিলেন। এবারও স্বাস্থ্যকর্মীরা একই প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করবেন। কেজরিওয়ালের কথায়, “আজকের মিটিং-এ আমি সর্বশেষ কোভিড পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর নিয়েছি। হাসপাতালে কী প্রয়োজন আমাকে জানানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী আমি ব্যবস্থা নেব।” এদিনের বৈঠকে কেজরিওয়ালের সঙ্গে ছিলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন এবং আপের মুখপাত্র রাঘব চাড্ডা।