
একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সে দড়িটি টাঙাচ্ছে সিলিং থেকে। পরের ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সে গলায় ফাঁস লাগাল। দু ‘দিকে দুই হাত বাড়িয়ে বলল, নাভ্ভুতু বাতাকালি, নাভ্ভুতু চাভালি। তার মানে, হাসতে হাসতে বাঁচো, হাসতে হাসতে মর।
তারপরে সে বলল, আমি জীবনে ব্যর্থ হয়ে এই পথ বেছে নিচ্ছি। আর কেউ যেন আমার মতো আত্মহত্যা কোরো না।
কয়েক সেকেন্ড পরে সে গলার ফাঁসটি আলগা করল। তারপর এক হাতে মোবাইলটি ধরে বলল, আমি মরবোই। কিন্তু একটু ভয় ভয় লাগছে।
তার পরে মোবাইলের পর্দা ব্ল্যাঙ্ক হয়ে গেল।
ছেলেটির নাম বাটকুলা সাই। বাড়ি তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলায়। বাবা-মা অনেকদিন আগে মারা গিয়েছেন। সে কাকা-কাকিমার কাছে মানুষ হয়েছিল। কয়েকদিন আগে সে বন্ধুদের সঙ্গে সারুরনগরে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। তার পরে বেশ কয়েকটি চাকরির ইন্টারভিউ দিয়েছিল। কিন্তু সফল হতে পারেনি। বুধবার সন্ধ্যাতেও তার ইন্টারভিউ ছিল। তাতেও ব্যর্থ হয়েছিল।
বুধবার ফেরার পর কিছুক্ষণ সে ফ্ল্যাটে একা ছিল। বন্ধুরা গিয়েছিল বাইরে। তখনই সে গলায় দড়ি দেয়।
সাই বলেছে, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। কিন্তু তার ভাইয়ের অভিযোগ, রুমমেটরা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়ে থাকতে পারে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।