
পুলিশ প্রধান ড্যান টমসন জানিয়েছেন, প্যারেড চলছিল। আচমকা একটি লাল রঙের এসইউভি ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ে। ২০ জনের ওপর মানুষকে চাপা দিয়ে বেরিয়ে যায় সেটি, যার মধ্যে শিশুরাও ছিল। কতজন মারা গিয়েছে, সংখ্যাটা জানাননি তিনি। পরিবারগুলিকে শনাক্ত না করা পর্যন্ত আর কোনও তথ্য প্রকাশ করা হবে না বলে জানান তিনি। ঘটনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ এখনও চলছে। তবে মোট ১১ জন প্রাপ্তবয়স্ক, ১২টি শিশুকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অগ্নি নির্বাপণ শাখার প্রধান স্টিভেন হাওয়ার্ড। একজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, পুলিশ অফিসাররা লোকজনকে মাড়িয়ে চলে যাওয়া গাড়িটিকে আটক করেছেন। ঘটনার সময় এক পুলিশ অফিসার থামানোর জন্য গাড়িটি লক্ষ্য করে গুলি চালান।
সোমবার স্থানীয় স্কুল খুলবে না, রাস্তাঘাট বন্ধ থাকবে বলে জানান টমসন। স্থানীয় আইন প্রনয়ণকারী এজেন্সিগুলি তদন্তে নেমেছে, তাদের সহায়তা করছে বলে জানিয়েছে এফবিআই।
প্যারেডে উপস্থিত ছিলেন উইসকনসিনের স্টেট ট্রেজারার পদে ভোটপ্রার্থী অ্যাঞ্জেলিটো টেনোরিও। তিনি বলেছেন, একটা এসইউভিকে দেখলাম আচমকা তীব্র গতিতে প্যারেডের রুটে ছুটে যেতে। তারপরই একটা প্রচণ্ড শব্দ, গাড়ির তলায় পিষ্ট বা ছিটকে পড়া লোকজনের কান ফাটানো আর্তনাদ, চিত্কার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্কুলের একটি মার্চিং ব্যান্ড যাচ্ছিল। তার পিছন থেকে ছুটে আসে গাড়িটি।
স্থানীয় গভর্নর টনি এভার্স জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী সবার জন্য প্রার্থনা করছেন। একাধিক আইনপ্রণেতাও শোক জানিয়েছেন। ডেমোক্র্যাট সেনেটর ট্যামি বল্ডউইন ট্যুইট করেছেন, এই ভয়াবহ হিংসা তাঁর কাছে হৃদয়বিদারক।
সম্প্রতি উইসকনসিন আলোড়িত হয় কাইল রিটেনহাউসের বিচারপর্বের সমাপ্তিতে। এই মার্কিন কিশোর দুটি লোককে গুলি করে মারাত্মক জখম করার ঘটনায় অব্যাহতি পেয়েছে বিচারে। তারপরই ঘটে গেল গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা।