
রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষে বিজয় শঙ্কর সিংহ একটি বিবৃতিতে বলেছেন, “যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া, পেট্রোপণ্যের মূল্যের সীমাহীন বৃদ্ধি সেই মুহূর্তে রাজ্য কর্মচারীদের প্রতিনিয়ত বেতনহ্রাস এবং পাহাড় প্রমাণ বঞ্চনা চলছে। তাই আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে কেন্দ্রীয়হারে মহার্ঘভাতা দেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি। ইতিমধ্যে গত ৮ সেপ্টেম্বর , ২০২১ আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বকেয়া মহার্ঘভাতা দেওয়ার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি(স্মারকলিপি) দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বকেয়া মহার্ঘভাতার পরিমাণ আরো ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেল। সুতরাং সরকার যদি এই প্রাপ্য বকেয়া মহার্ঘভাতা দেওয়ার কোন সদিচ্ছা না দেখায় তাহলে সরকারি কোষাগার থেকে বেতনভুক কর্মচারীরা বৃহত্তর আন্দোলন সংগ্রামের পথে নামতে বাধ্য হবে।”
‘চার মাস বেতন নেই, খেতে পাচ্ছি না!’ তালিবানের উদ্দেশে গলা তুললেন কয়েকশো আফগান শিক্ষক
আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মচারী সংগঠন স্টিয়ারিং কমিটি ও বিজেপির কর্মচারী পরিষদ। স্টিয়ারিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক সংকেত চক্রবর্তী বলেন, সরকার মামলা ঝুলিয়ে রেখে কর্মচারীদের প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত করছে। রাস্তায় নামাই এখন একমাত্র রাস্তা।
পরিষদের তরফে দেবকুমার সাহা বলেন, আগামী মাসেই আমরা রাজ্য অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। তারপর ডিএ না বাড়ালে জেলায় জেলায় আন্দোলন চলবে।
ডিএ মামলার পিটিশনার মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, পঞ্চম বেতন কমিশনে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতার ফারাক ছিল ৫০ শতাংশ। সেটা বাদই দিন। কেন্দ্রীয় সরকার তিন শতাংশ ডিএ ঘোষণার পর নতুন বেতন কাঠামোয় বকেয়া দাঁড়াল ২৮ শতাংশ।
যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠন রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক সৌম্য বিশ্বাস। তিনি বলেন, এ নিয়ে কিছু বলার জায়গায় আমি নেই।