
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দমদম জেলে বসেই তোলা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তোলা দেননি ব্যারাকপুরের ডি বাপি বিরিয়ানির (D Bapi Biriyani) দোকানের মালিক বাপি দাস। তাই জেলে বসেই দেওয়া হয় সুপারি। আর তারই জেরে ব্যারাকপুরে বিরিয়ানির দোকানে চলে গুলি। এবং এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুজিত রায় আবার টিটাগড়ে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনে অন্যতম অভিযুক্ত। ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশের হাতে।
দমদম জেলের বন্দি সুজিত রায়কে সোমবার গ্রেফতার করেছে মোহনপুর থানার পুলিশ। তাকে সাত দিনের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টিটাগড়ে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনে অন্যতম অভিযুক্ত সুজিত দমদম জেলে বন্দি। সুজিতকে জেরা করে সোমবার কাঁকিনাড়া থেকে আরও এক অভিযুক্ত রাহুল বর্মাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে (D Bapi Biriyani)।
সিআইডি-র পাতায় ইনি-বিনি-টাপা-টিনির নাম, সতর্ক করল ভবানী ভবন
এই নিয়ে বিরিয়ানি দোকানে গুলি চালানোর ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হল। গত সোমবার দিনে দুপুরে ব্যারাকপুর ওয়ারলেস মোড় লাগোয়া ব্যারাকপুর বারাসাত রোডের ধারে একটি নামজাদা বিরিয়ানি দোকানে চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতী। বাইক নিয়ে এসেছিল তারা। গুলিতে বিরিয়ানি দোকানের এক কর্মচারী ও এক ক্রেতা জখম হন।
ঘটনার পর বিরিয়ানি দোকানের মালিক বাপি দাস পুলিশকে জানান, ঘটনার কয়েকদিন আগে তার মোবাইলে একটি হুমকি ফোন এবং মেসেজ আসে। তারই সূত্র ধরে পুলিশ সুজিতের হদিশ পায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মণীশ শুক্লা খুনে অন্যতম অভিযুক্ত দমদম জেলে বন্দি এই সুজিতই তোলা চেয়ে হুমকি দিয়েছিল বিরিয়ানি দোকানের মালিককে। তোলা না পাওয়ায় সুজিতই ছেলে পাঠিয়েছিল।
সুজিতের নির্দেশ মতোই তিন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে পালায়। যদিও তাদের টার্গেট বিরিয়ানি দোকানের মালিক বাপি দাস ছিল, নাকি নিছকই ভয় দেখাতেই এলোপাথাড়ি গুলি তা এখনও স্পষ্ট নয়। সুজিতকে জেরা করে পুলিশ বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে জেলে বসে কত টাকা তোলা সুজিত চেয়েছিল সেটিও পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। ধৃতদের মুখোমুখি বসিয়ে পুলিশ জেরা করতে পারে বলে জানা গিয়েছে।