
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষায় (CUET) বসার প্রস্তুতি নিতে এবার কলেজে-কলেজে বিশেষ কোর্স করার অফার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সেই কোর্সের জন্য বিজ্ঞাপনও চোখে পড়ছে রাস্তায় রাস্তায়। যা নিয়ে শিক্ষা মহলে সমালোচনা কম হচ্ছে না। অনেকেই মনে করছেন এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন আছে।
দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার চালিত রামানুজ কলেজ এই বিশেষ কোর্সের ব্যবস্থা করছে পড়ুয়াদের জন্য। যার জন্য এক একজন পড়ুয়াকে গুনতে হবে ১২ হাজার টাকা! এই কলেজের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। যা দেখে অনেকের মত, পুরো বাণিজ্যিকভাবে পুরো বিষয়টি পরিচালনা করা হচ্ছে।
বাণিজ্য বিভাগের ক্ষেত্রে এই বিশেষ কোর্সটি (CUET) অফার করা হচ্ছে। অনলাইনে হবে এটি। আগামী ১ জুন থেকে ৩০ জুন প্রতিদিন ক্লাস নেওয়া হবে বিকেল ৪ টে থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। শিক্ষা মহলের যতই আপত্তি থাকুক, পড়ুয়াদের মধ্যে এই কোর্সের চাহিদা বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়।
সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় (CUET) চলতি বছরে জুলাই মাসের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। বহু নির্বাচনী প্রশ্ন বা এমসিকিউ ভিত্তিক এই পরীক্ষাতে, পরীক্ষার্থীদের কাছে ক্লাসে পড়ার তুলনায় কোচিংয়ে এমন কোর্সের প্রতি বেশি আকৃষ্ট করে তোলে।
অনেকেই মনে করছেন কলেজগুলোর এহেন পদক্ষেপ শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করছে। যা অনুচিত। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এন কে সুকুমার জানান, “এটি শিক্ষার নীতির বিরুদ্ধে। শিক্ষা সবার জন্য উপলব্ধ হওয়ার কথা। কিন্তু এই কোচিং একটি বৈষম্য সৃষ্টি করছে। যাঁদের অর্থ নেই, তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি কখনই বেসরকারি কোচিং সেন্টারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যেতে পারে না।” তাঁর মতে, সরকারে জাতীয় শিক্ষা নীতির পরিপূরক এটি।
তবে অনেকেই এমন কোর্সের পক্ষেও সওয়াল করেছেন। অভিযোগ, ইউজিসির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত অর্থ আসছে না বলে এমন কোর্স করানোর পথে হাঁটছে। মিরান্ডা হাউস কলেজের শিক্ষক আভা দেব হাবিব বলেন, ” ইউজিসি কলজেগুলোকে পর্যাপ্ত অর্থ প্রদানে ব্যর্থ। পাশাপাশি তাদের ওপর ক্রমাগত রাজস্ব বাড়ায় এমন কোচিং চালু করতে বাধ্য হচ্ছে।”
যদিও রামানুজ কলেজের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পড়ুয়াদের সাহায্য করতেই এমন কোর্স করার ভাবনা। এই কলেজের এক অধ্যাপকের কথায়, এই কোর্সের জন্য আমাদের যা ফি নেওয়া হচ্ছে তা খুবই নুন্যতম। তবে অনেকেই আপত্তি করছে যেহেতু আমরা এই বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখতে পারি।
লালবাজারের নাকের ডগায় প্রতারণা চক্র! ৯ বছর ধরে রমরমিয়ে চলছিল লোক ঠকানোর ব্যবসা