
অনেকেই বলছেন ঐতিহাসিক। শুক্রবার মঞ্চ পরিদর্শন করতে এসে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে এ বারের সমাবেশ। ঘড়ির কাঁটা যখন সাড়ে সাতটা তখন সমাবেশের মূল মঞ্চ থেকে ডোরিনা ক্রসিং অবধি লোক। সকাল ৯টার যা চিত্র তাতে রেকর্ড হয়তো ভাঙতে চলেছে। যত দূর চোখ যাচ্ছে ততদূর শুধু মানুষ। মূল মিছিলগুলি শুরু হবে সকাল ১০ টা নাগাদ। শিয়ালদহ এবং হাওড়া, শ্যামবাজার পাঁচ মাথা এবং পার্কসার্কাস সেভেন পয়েন্ট থেকে যে কেন্দ্রীয় মিছিলগুলি আসার কথা সেগুলি হয়তো যখন থমকে যাবে সমাবেশ স্থলের অনেকটা দূরে। মূলত দূরের জেলার কর্মী সমর্থকের ভিড়েই উপচে গিয়েছে ধর্মতলা। উত্তর চব্বিশপরগনার জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘রাজ্য নেতৃত্বের তরফে পাঁচ লক্ষ মানুষ জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল। তা ছাপিয়ে যেতে চলেছে।’ তাঁর কথায় শুধু এই জেলা থেকেই সমাবেশের আসার জন্য ২৬০০ বাস রওনা দিয়েছে ধর্মতলার অভিমুখে। বড় সংখ্যক কর্মীরা আসবেন ট্রেনে।
হাওড়া স্টেশনেও একই চিত্র। বর্ধমান, হুগলি, দুই মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলি থেকে মমতার ডাকে কাতারে কাতারে মানুষ। অধিকাংশ কর্মীরই আকাঙ্খা, ‘উনিশে দিদিই হবেন প্রধানমন্ত্রী।’ আর উনিশের আগের একুশে নেত্রী কী বলেন সেদিকেই তাকিয়ে সবাই। বৃষ্টি উপেক্ষা করে।