
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সামনের বছর ভোট। তার আগে পার্টি কংগ্রেসে ত্রিপুরা থেকে নতুন কারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে সিপিএমে (CPM Tripura)।
আগামী পরশু, ৬ এপ্রিল থেকে কেরলের কান্নুরে (Kannur) শুরু হতে চলেছে সিপিএমের ২৩তম পার্টি কংগ্রেস (CPIM 23rd Party Congress)। ঘটনা হল, গত একবছরের মধ্যে ত্রিপুরা সিপিএমের দুই শীর্ষ স্থানীয় নেতা তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দাশ এবং বিজন ধর কোভিডে প্রয়াত হয়েছেন। এই দু’জনের জায়গায় কারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসবেন তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে ত্রিপুরা পার্টিতে।
বাংলা থেকে কারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে যাবেন, নাম নিয়ে জল্পনা সিপিএমে
মনে করা হচ্ছে ত্রিপুরা সিটুর রাজ্য সভাপতি মানিক দে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পাবেন। বিজন ধরের জীবনাবসানের পর ত্রিপুরা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক হয়েছেন নারায়ণ কর। তিনিও এবার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হতে পারেন।
প্রাক্তন মন্ত্রী বাদল চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তাঁকেও এবার কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে বলে সিপিএমের একটা সূত্রের দাবি। আবার পার্টির একটি অংশের বক্তব্য, জিতেন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা রয়েছে। বিপ্লব দেব সরকার এসে উড়ালপুল দুর্নীতি মামলায় তাঁকে জেলেও পাঠিয়েছিল। সিপিএম গোড়া থেকেই এই মামলাকে সাজানো বলে দাবি করে এসেছে। দলের একটি অংশের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদলবাবুকে পুরোপুরি বাদ দিলে বিজেপি অন্য প্রচার করবে। তাই তাঁকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে রাখা হতে পারে।
নতুন মুখ হিসেবে জনজাতি অংশের নেতা রাধাচরণ দেববর্মাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করতে পারে সিপিএম। বিজেপির জোটে থাকা জনজাতি ভিত্তিক দল আইপিএএফটি পার্টিটা কার্যত উঠে গিয়েছে। নতুন দল হিসেবে মাথা তুলেছে তিপ্রা মথা। স্বশাসিত জেলা পরিষদ তথা এডিসি ভোটে চমক দিয়ে বোর্ড গঠন করেছে প্রদ্যোত্ কিশোর দেববর্মনের পার্টি। সিপিএমও গণমুক্তি পরিষদের কাজ নতুন করে শুরু করেছে। তাই অনেকের
মতে গণমুক্তি পরিষদের সম্পাদক রাধাচরণকে পরিচিতিসত্ত্বার সমীকরণ মেনেই কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিতে পারেন সীতারাম ইয়েচুরিরা।
রমা দাস, জিতেন্দ্র চৌধুরী এবং তপন চক্রবর্তীরা কেন্দ্রীয় কমিটিতে যেমন ছিলেন তেমনই থাকবেন বলে খবর। জিতেন্দ্র এখন রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁকে পলিটব্যুরোতে নেওয়ার একটা দাবিও রয়েছে পার্টির মধ্যে।
যদিও সিপিএমের এক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যের কথায়, কোন রাজ্য থেকে কত জন পলিটব্যুরোর সদস্য হবেন তা সদস্য সংখ্যার উপর নির্ভর করে। ত্রিপুরার ক্ষেত্রে মানিক সরকার রয়েছেন। নতুন কাউকে নেওয়ার সম্ভাবনা কম।
বাংলায় যেমন ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর ধারাবহিকভাবে সিপিএমের পার্টি মেম্বারশিপ কমেছে তেমনটা ত্রিপুরায় নয়। ত্রিপুরা সিপিএম সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে সরকার থেকে চলে যাওয়ার সময়ে সেই রাজ্যে পার্টি মেম্বার ছিল প্রায় ৪৪ হাজার। এবার সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজারে। যা ইতিবাচক বলেই মত অনেকের। এই পরিসংখ্যান দেখিয়ে জিতেন্দ্র চৌধুরীকে পলিটব্যুরোতে নেওয়ার দাবি আগরতলায় রয়েছে।