
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একসময়ের দাপুটে বাম বিধায়ক (CPM MLA)। ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ছিল তাঁর রাজপাট। কোনও রোগীর জন্য শয্যার দরকার পড়লেই ডাক পড়তো ‘দীবা দা’র। বদলে গেছে সময়। সঙ্গে অনেককিছুই। শয্যার অভাবে সেই নেতাকেই পড়ে থাকতে হল হাসপাতালের মেঝেতে। এ খবর জানাজানি হতে অবশ্য প্রায় দেড়দিন পর বেড পেলেন ওই সিপিএম নেতা।
২০১১ সালে গোটা রাজ্যে পালা বদল হলেও বিনপুরের বিধায়ক থেকে গিয়েছিলেন বর্ষীয়ান বাম নেতা দীবাকর হাঁসদা। স্বাস্থ্য বিভাগের সরাসরি কোনও দায়িত্বে না থাকলেও বরাবর ঝাড়গ্রাম সহ প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলের রোগীদের পাশে থেকেছেন তিনি। সবসময় রোগীরা বেড না পেলে হাসপাতালের সুপারের কাছে তদবির করতেন বেডের জন্য। পাশে থাকার চেষ্টা করতেন তাঁদের। হয়তো সেই কৃতজ্ঞতাই জানিয়েছিলেন মানুষ। তবে সেসব অতীত। রাজ্যে পালাবদল হয়েছে ২০১১ সালে। তৃতীয়বারের জন্য শাসকের ভূমিকায় তৃণমূল। ভোল বদলেছে হাসপাতালগুলির। তৈরি হয়েছে ঝাঁ চকচকে বিল্ডিং।
একসময়ের দাপুটে এই সিপিএম নেতাকে অসুস্থ শরীর নিয়ে পড়ে থাকতে হল মেদিনীপুর (Medinipur) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেঝেতে। রবিবার বিকেলে গলব্লাডার স্টোন অপারেশনের জন্য তাকে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে। তবে অত্যধিক রোগীর চাপ থাকায় শয্যা মেলেনি তাঁর। নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করে কেনা প্লাস্টিকের মাদুরে শুয়ে মেঝেতেই স্যালাইন নিতে হচ্ছিল তাঁকে।
পরিস্থিতির বিবরণ দিতে গিয়ে কার্যত চোখে একরাশ জল প্রাক্তন বিধায়ক তথা দাপুটে এই বাম নেতার। বর্তমানে তিনি সিপিআইএমের ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। এলাকায় এখনও পরিচিত বাম নেতা। হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে প্রশ্ন তোলেন, সরকার যে উন্নয়নের দাবি করে এটাই কি সেই উন্নয়নের নমুনা! সূত্রের খবর, মঙ্গলবার অপারেশন হতে পারে এই বাম নেতার। অপারেশনের পরেও শয্যা মিলবে তো? এই প্রশ্ন যখন কুড়েকুড়ে খাচ্ছিল দাপুটে বাম নেতাকে, তখনই নড়েচড়ে বসল হাসপাতাল প্রশাসন। ভর্তি হওয়ার দেড়দিন পর মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে শয্যা পেলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘আমি সব করে দেব!’ এই বলে রক্তাক্ত রোগীর হাতের ব্যান্ডেজ খুলে দিল মদ্যপ ডাক্তার! তার পর…