
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নেতাই গণহত্যা মামলায় (Netai murder case) জামিন পেলেন সিপিএম (CPM) নেতা অনুজ পাণ্ডে, ডালিম পাণ্ডে এবং তপন দে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট এই তিন সিপিএম নেতার জামিন মঞ্জুর করেছে।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ে সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাতের বাড়ি থেকে গুলি চলেছিল বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় ন’জনের মৃত্যু হয়েছিল। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, কোর্টের কাগজ নিয়ে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বুধবার যাওয়া হবে। সব ঠিক থাকলে দুপুরের মধ্যে জেল থেকে মিছিল করে বের করে আনা হবে তিনজনকে।
এ ব্যাপারে তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, “আদালতের রায় নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে এলাকায় গিয়ে তাঁরা যদি ভাবেন পুরনো জমানা ফেরাবেন তাহলে মানুষ বরদাস্ত করবে না।”
পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলেন, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম সপ্তম বামফ্রন্ট সরকারের কাটা ঘায়ের মতো ছিল। তাতে নুনের ছিটে দিয়েছিল নেতাই। প্রসঙ্গত, গরিব মহল্লায় সিপিএম নেতা অনুজ পাণ্ডের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন স্থানীয়রা। যদিও সিপিএম মনে করে, কৃত্রিমভাবে ঘৃণা তৈরি করা হয়েছিল।
দীর্ঘ এই সময়ে নেতাই মামলার অভিযুক্তরা জেলে ছিলেন। সিপিএমের মধ্যে এই চর্চা ছিল যে, পার্টি কেন পাশে দাঁড়াচ্ছে না, মামলা লড়ছে না। দেখা যায় জেলা সম্পাদক পদে সুশান্ত ঘোষ আসার পরেই এ ব্যাপারে তৎপরতা বাড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএম। অনেকের মতে, বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে সুশান্ত নিজে ছ’মাসের বেশি সময় জেলে ছিলেন। তিনিই এটা উপলব্ধি করেছেন। আগের নেতারা গা বাঁচিয়ে চলেছেন।

এর আগে নেতাই মামলায় সিপিএম নেত্রী ফুল্লরা মণ্ডলও জামিন পেয়েছেন। তারপর তাঁকে গোটা রাজ্যে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে প্রচার করাচ্ছে সিপিএম। ঘটনা হল, মঙ্গলবার অনুজ, ডালিমদের যখন জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট, তার কয়েক ঘণ্টা পর কলকাতা বইমেলায় সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের মুখপত্র ‘ছাত্রসংগ্রাম’ পত্রিকার স্টল উদ্বোধন করেন ফুল্লরা। ছিলেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কাকদ্বীপে পুড়িয়ে মারা সিপিএম দম্পতি দেবু দাস ও ঊষারানি দাসের ছেলে দীপঙ্করও।
কংগ্রেসের প্রশ্নে তৃণমূলের সঙ্গে ফারাক থাকছে না সিপিএমের, সীতারামদের হল কী