
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পার্টির মুখপত্র গণশক্তিতে (Ganashakti) কলম ধরলেন প্রবীণ সিপিএম (CPM) নেতা গৌতম দেব (Goutam Deb)। তাঁর লেখার শিরোনাম ‘তৃণমূল আরও হিংস্র হবে, তাদের রোখাও যাবে।’ সেই নিবন্ধে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর প্রাক্তন সদস্য গৌতম দেব বামফ্রন্ট সরকারের ভাল কাজ এবং তৃণমূলের অনাচারের বর্ণনা দিয়েছেন।
লেখার একটি বড় অংশ হল সাম্প্রদায়িকতার বিপদের প্রশ্নে তৃণমূলের দৃষ্টিভঙ্গি ও পদক্ষেপ। গৌতম দেব লিখেছেন, বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল মনে করে না তৃণমূল। আরও লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বিজেপি সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। লিখেছেন, তৃণমূলের বিধায়কদের অনেকেই আছেন যাঁরা সংখ্যালঘু বিরোধী মানসিকতার মানুষ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি বিরোধিতা নিয়ে সংশয় জাগাতে গৌতম দেব, প্রয়াত জ্যোতি বসুর তৃণমূল নেত্রী সম্পর্কে একটি উক্তি উল্লেখ করেছেন। জ্যোতি বসু বলেছিলেন, মমতার সবচেয়ে বড় অপরাধ হল,
যে দলের এ রাজ্য তেমন শক্তি ছিল না, সেই বিজেপিকে কোলে করে বয়ে নিয়ে এসেছে এ রাজ্যে।

গৌতম দেবের এই লেখা নিয়ে সিপিএমের নেতা কর্মী সমর্থকদের মধ্যে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এমনিতেই রাজ্যের এই প্রাক্তন বাম মন্ত্রী নতুন কোনও কথা লেখেননি। চর্চার বিষয় এই লেখার সময় ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলে চলমান বিতর্ক।
তৃণমূলের প্রাক্তন সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি যশবন্ত এবার বিরোধী শিবিরের প্রার্থী, যাঁকে সিপিএম-সহ বাম দলগুলি সমর্থক করেছে। যশবন্ত এর আগে দু দফায় বিজেপির অটল বিহারী বাজপেয়ি সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া তিনি ১৪- র লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদীকে দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে সমর্থন
করেছিলেন। ২০১৮ পর্যন্ত বিজেপিতে ছিলেন। যদিও দলে থেকেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর অনেক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।
সেই যশবন্ত-কে সিপিএম কেন সমর্থন করল সেই প্রশ্ন তুলে দলের অন্দরে অনেকেই সরব হয়েছেন। এ রাজ্য থেকে রাষ্ট্রপতি ভোট দলের একমাত্র ভোটার রাজ্যসভার সদস্য বিকাশ ভট্টাচার্য প্রকাশ্যে বলেছেন, বিরোধী প্রার্থী বাছাই ঠিক হয়নি।
দলের বিরুদ্ধবাদীরা সংখ্যায় যে কম নয়, তা বোঝা গিয়েছে পার্টির সাধারণ সম্পাদকের কথায়। গণশক্তিতে তিনি বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছেন, রাষ্ট্রপতি ভোট মতাদর্শের সংগ্রাম। বিরোধী ঐক্য রক্ষার স্বার্থেই দলকে যশবন্তের পাশে থাকতে হয়েছে, বলেছেন সীতারাম।

অনেকেই মনে করেছিলেন, রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে উদ্ভুত বিতর্কের মুখে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সমর্থনে কলম ধরেছেন গৌতম। কিন্তু তিনি তৃণমূল সম্পর্কে তীক্ষ্ণ ভাষা প্রয়োগ করে আসলে রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে দলের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ কমরেডদের মনের ক্ষতে মলম দিতে চেয়েছেন।
অ্যামাজন, গুগলকে ফেরালেন, কোথায় চাকরি করবেন বীরভূমের বিশাখ, মাইনে জানলে চোখ কপালে উঠবে