
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জোট ঘোষণা হয়েছিল। তাতে জটও পেকেছিল। আবার তা খুলেও গেল।
বৃহস্পতিবার ছিল ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের (Tripura Assembly Election) মনোনয়ন প্রত্যাহারে শেষ দিন। সেই শেষ দিনে অতিরিক্ত তিন আসনে দেওয়া নিজেদের প্রার্থীদের সরিয়ে নিল কংগ্রেস। আবার কংগ্রেস দিয়েছে দেখে সিপিএম যে ১৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল, সেখান থেকে তারাও তাদের প্রার্থীদের সরিয়ে নিল।
অর্থাৎ ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে পূর্ণাঙ্গ আসন সমঝোতা করেই লড়তে চলেছে সিপিএম-কংগ্রেসের। ৬০ আসনের এই এই রাজ্যে ৪৬টি আসনে লড়ছে বামফ্রন্ট প্রার্থীরা। ১৩টি আসনে লড়ছে কংগ্রেস। আগরতলা সংলগ্ন রামনগর কেন্দ্রে লড়ছেন বাম সমর্থিত এক নির্দল প্রার্থী।
বুধবার রাতে সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী খোলা বিবৃতি জারি করে। তাতে কংগ্রেসের উদ্দেশে বলে, তারা চায় সব আসনে সমঝোতা হোক। তাই কংগ্রেসের প্রার্থী থাকা ১৩টি আসন থেকে তারা প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেবে।
তাতে সাড়া দিয়ে কংগ্রেসও জানায়, বামেদের প্রার্থী থাকা তিন আসন থেকে তারাও প্রার্থী তুলে নেবে। অবশেষে তাই হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিপিএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী দ্য ওয়াল-কে বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলাম এই জট কেটে যাবে। তাই হয়েছে। আমরা আমাদের কথা রেখেছি। কংগ্রেসও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে।’
২০১৬ বা ২০২১ সালে বাংলায় যে ছবি দেখা গিয়েছিল ত্রিপুরায় তা হল না। এই দুই ভোটে বাংলায় জোট বা আসন সমঝোতা হলেও বেশ কিছু আসনে বাম-কংগ্রেসের লড়াই হয়েছিল। যাকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট ও বিধানভবন বলেছিল বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই। কিন্তু ত্রিপুরায় পূর্ণাঙ্গ চেহারা পেল সিপিএম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতা।
আবার কয়েকটি আসনে তিপ্রা মথার সঙ্গেও কৌশলগত সমঝোতা হয়েছে বাম-কংগ্রেসের। যেমন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী লড়ছেন দক্ষিণ জেলার সাব্রুম থেকে। সেখানে প্রার্থী দেয়নি মথা। এইরক্ম বেশ কয়েকটি কেন্দ্র রয়েছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় ভোটগ্রহণ। ২ মার্চ ফল ঘোষণা হবে।
সাগরদিঘির ভোট: দিলীপকে প্রার্থী করল বিজেপি, বাম-কংগ্রেস কি জোট করবে?