
অতিমহামারীতে মৃতদের জন্য এদিন শোক প্রকাশ করেন মোদী। তিনি বলেন, গত ১০০ বছরে সারা বিশ্ব এমন অতিমহামারীর মুখে পড়েনি। তাঁর কথায়, “আমরা দেখলাম, কোনও দেশ যতই শক্তিশালী হোক না কেন, একা এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।”
ন্যাশনাল হেলথ অথরিটি এদিন বিবৃতি দিয়ে বলে, ভারত এখন অন্যান্য দেশকে কো উইন দেবে। কো উইন হল একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে যে কোনও দেশেরই টিকাকরণে সুবিধা হবে। কো উইনের মাধ্যমে ভারত অন্যান্য দেশের উদ্দেশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এদিন কো উইন গ্লোবাল কনক্লেভের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হেলথ অথরিটির সিইও আর এস শর্মা, বিদেশ সচিব এইচ ভি শ্রিঙ্গলা এবং স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। মেক্সিকো, কানাডা, উগান্ডা, নাইজেরিয়া সহ ৫০ টি দেশ কো উইন অ্যাপ ব্যবহারে আগ্রহ দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন কো উইনের ওপেন সোর্স ভার্সন তৈরি করতে হবে। তাহলে যে কোনও দেশই এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে।
ভারতে টিকাকরণ শুরু হয়েছে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে। এখন ১৮ বছরের বেশি সকলকেই টিকা দেওয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন দেশের গর্ভবতী মহিলারা। তাঁরা নিজেরা এখন কো উইন অ্যাপে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করাতে পারেন অথবা করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাড়ির সবচেয়ে কাছের সেন্টারে ভ্যাকসিন নিতে যেতে পারেন।
একাধিক সংগঠন সরকারের কাছে গর্ভবতী মহিলাদের ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করছিল। গত মে মাসে দিল্লির শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন কেন্দ্রের ১৪ জানুয়ারির অ্যাডভাইসরির বিরুদ্ধে তারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। ওই অ্যাডভাইসারিতে বলা হয়েছিল, যেহেতু ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে গর্ভবতী মহিলাদের সামিল করা হয়নি, সুতরাং তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ, সুরক্ষিত, সে ব্যাপারে যথেষ্ট ডাটা নেই।