
দ্য ওয়াল ব্যুরোঃ গত দেড় বছরে শিক্ষা ব্যবস্থায় গাঢ় হয়েছে কোভিডক্ষত। পড়াশোনা চলেছে বাড়ি থেকে অনলাইনে। এতদিন পর অফলাইনের জন্য কিছু পড়ুয়া স্কুলে (School) যাচ্ছে বটে, তবে ছোটদের ক্লাস এখনও চলছে বাড়ি বসেই। কোভিড ধাক্কায় সারা দেশের মানুষের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারও প্রভাব পড়েছে স্কুল-কলেজের পরিসংখ্যানে।
দেখা গেছে, ২০১৮ সালের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে শহরের বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির হার কমেছে। সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীরাই গিয়ে ভিড় করছে সরকারি স্কুলে। পাশাপাশি স্কুলে ভর্তি না হওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যার অনুপাত আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
ডায়মন্ড হারবারের পিকনিকে ফাটল গ্যাস সিলিন্ডার! ঝলসে গেলেন পাঁচজন
গত দেড় বছরে বহু মানুষের উপার্জনে ভাঁটা পড়েছে। কেউ কাজ হারিয়েছেন, কারও আবার বেতন হ্রাস পেয়েছে অনেকখানি। দ্য অ্যানুয়াল স্টেটাস অফ এডুকেশন রিপোর্ট জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে প্রাইভেট স্কুলগুলিতে ৮ শতাংশের বেশি পড়ুয়া অন্যত্র চলে গেছে। আর সেই সঙ্গে সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে ৬ শতাংশ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই সমস্ত পড়ুয়াদের বেশিরভাগের বয়স ৬ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে।
পরিসংখ্যান আরও বলছে, সরকারি স্কুলে ভর্তির প্রবণতা বেশি দেখা গেছে মেয়েদের মধ্যেই। দেশের ৫৮১টি জেলায় মোট ৭৫ হাজার বাড়ির পরিস্থিতি নিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। তাতেই মিলেছে পরিসংখ্যান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে ভর্তি থামিয়ে রেখেছে এখনও, তাদের অভিভাবকরা ভেবেছে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাবেন। তার জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে স্কুলে ভর্তিই করা হয়নি।
সরকারি স্কুলে ভর্তির অন্য কারণও আছে। সেখানে শুধু বেতন কম নয়, অনেক রকম আনুসাঙ্গিক সুবিধাও আছে। বিনামূল্যে সেখানে বইখাতা, স্কুলের উইনিফর্ম দেয়া হয় বাচ্চাদের। সেই কারণেও অনেকে সরকারি স্কুলের দিকে ঝুঁকছেন বলে মনে করা হচ্ছে।