
কয়েকটি রাজনৈতিক দলের আপত্তি, অভিযোগ পেয়ে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশক্রমে অসম, কেরল, তামিলনাড়ু,পশ্চিমবঙ্গ, পুদুচেরির বিধানসভা নির্বাচনের সময় গত বছর মার্চেও এমন পদক্ষেপ করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পেশ হওয়া পিটিশন গত মাসে খারিজ করে কেরল হাইকোর্ট। আবেদনকারীর বক্তব্য ছিল, বেসরকারি কেন্দ্রে পয়সার বিনিময়ে ভ্যাকসিন নিলে তার শংসাপত্রে কেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ থাকবে। পৃথিবীর আর কোনও দেশে সার্টিফিকেটে প্রধানমন্তীর ছবি থাকে না! কিন্তু হাইকোর্ট তাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে উল্টে বলে, কেন আপনি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে লজ্জিত। পিটিশনের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি, প্রচার পাওয়ার উদ্দেশ্য আছে বলে মনে হচ্ছে। তাই এটি চড়া জরিমানা সহ খারিজ হওয়ার যোগ্য।
পাশাপাশি ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়াকে মানুষের জীবন বাঁচানোর অস্ত্রের বদলে বরং প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিজের প্রচারেই কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস।
আসন্ন ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে এক নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে। দেশজুড়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দাপটে কোভিড ১৯ এর বেলাগাম সংক্রমণবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, মিছিল, রোড শো নিষিদ্ধ করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনের সুশীল চন্দ্র সমাবেশ, মিছিল, সভা, পদযাত্রা, গাড়ি নিয়ে প্রচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ১৫ জানুয়ারি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন।