
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কাশীপুরে (Cossipore Death) বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি মানেনি কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। গত শুক্রবার চৌরাসিয়ার বাড়িতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বিজেপি কর্মীর মৃত্যুকে রাজনৈতিক হত্যা বলে অভিহিত করে সিবিআই তদন্ত দাবি করেছিলেন। মঙ্গলবার হাইকোর্ট কলকাতা পুলিশকেই তদন্তের ভার দিয়েছে।
হাইকোর্টের এদিনের নির্দেশকে হাতিয়ার করে অমিত শাহ ও বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানাল তৃণমূল (TMC)। এদিন দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও শশী পাঁজা অভিযোগ করেন, বিজেপি একটা নাটক সাজাতে চেয়েছিল। কিন্তু ধরা পড়ে গিয়েছে। চন্দ্রিমা মন্তব্য করেন, প্রমাণ হল ওরা ব্যাড স্টুডেন্টস। ধরা পড়ে গেছে।
দুই মন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা ঠিক বলেছিলাম।’ তৃণমূল বলেছিল, এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।
তৃণমূলের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তাদের অবস্থানকেই সত্য প্রমাণ করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্জুনের দেহের বাইরের অংশে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে, বলা হয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে।
এদিন তৃণমূল দফতরে চন্দ্রিমা বলেন, বিজেপি আগেই বলে দিল পলিটিক্যাল খুন। একের পর এক বিজেপি নেতা টুইট করেছিল অমিত শাহও পৌঁছে গেছিলেন। গিয়ে বলেছিলেন পলিটিক্যাল খুন। এখন কী বলবেন?
শশী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। তিনি বলেন, বাংলায় হেরে গিয়ে এসব করছে। ওদের এত রাগ সেই কারণেই।
চন্দ্রিমা বলেন, যতদূর জেনেছি, অর্জুনের দেহে ধস্তাধস্তির চিন্হ মেলেনি। নখের ফরেন্সিক পরীক্ষা করেও কিছু মেলে নি।
চন্দ্রিমা, শশী প্রশ্ন তোলেন, অমিত শাহ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাকি বিজেপির নেতা হিসাবে কাশীপুরে গিয়েছিলেন। আসলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অসত্য কথার ফুলঝুরি সাজিয়ে এনেছিলেন। সেদিন আমাদের কথা কতটা সত্য ছিল আজ তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রমাণ হয়ে গেছে। তাহলে কেন তদন্তের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন খুন। তিনি সঠিক তথ্য দেননি৷
দুই মন্ত্রীর বলেন, সেদিন যে ক্ষিপ্রতায় অমিত শাহ কাশীপুর গিয়েছিলেন, তেমন দ্রুততার সঙ্গে ললিতপুর, হাথরস, প্রয়াগরাজে তিনি তো যাননি৷ এই রাজ্যের সরকার সত্য উদঘাটনে সব ব্যবস্থা নিয়েছে।
এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরও বলেন, মিথ্যাচারের জন্য অমিত শাহকে পদত্যাগ করতে বলছি না, তবে ক্ষমা চাইতে বলছি।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, এক মাঘে শীত যায় না । এর জবাবে চন্দ্রিমা বলেন, ওঁরা হয়তো বলতে চাইছেন এক মাঘে গল্প তৈরি করে উঠতে পারেনি। বাংলার মানুষ জানে মাঘে কী করতে হয়।