
দ্য ওয়াল ব্যুরো, কোচবিহার: কোচবিহার (Coochbehar) আর তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল যেন সমার্থক হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার তুফানগঞ্জের একটি পঞ্চায়েত শাসকদলের (TMC) হাতছাড়া হয়। তারপর ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই প্রাক্তন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে তুলোধোনা করলেন জেলার বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা তথা আরেক প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindranath Ghosh)।
শুক্রবার তুফাগঞ্জের অন্দরান ফুলবাড়ি-১ পঞ্চায়েতের প্রধান সহ পাঁচ সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ৯ সদস্যের পঞ্চায়েতের পাঁচজনই দল পরিবর্তন করায় সভাবতই পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয় শাসকদলের। এর ফলে কোচবিহারে বিজেপি শাসিত গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা বেড়ে হল দুই। এদিকে শিবির বদল করা পঞ্চায়েত প্রধান ধরণী মণ্ডল জানান, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অতিষ্ট হয়েই তিনি বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন।
এই নিয়েই কোচবিহারে তেতে উঠেছে তৃণমূলের অভ্যন্তরীন রাজনীতি। শনিবার কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “প্রাক্তন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের অপরিণামদর্শীতার জন্য অন্দরান ফুলবাড়ি-১ পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে। রবি ঘোষের দাবি, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যরা যখন শিবির বদলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিল তখনই প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছিলেন। কিন্তু তৎকালীন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় তাঁর কথা শোনেননি বলে অভিযোগ করেন এই বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি, দলের সভাপতি হয়ে দূরদর্শীতা না দেখাতে সারাতেও আজ পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, শুক্রবারই তৃণমূলের তুফানগঞ্জ ব্লক সভাপতি প্রদীপ বসাক এই একই ইস্যুতে পার্থপ্রতিম রায়ের দিকে আঙুল তোলেন। তারপর রবি ঘোষ মুখ খোলায় বিবাদ চরমে উঠল বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। উল্লেখ্য, অন্দরান ফুলবাড়ি-১ পঞ্চায়েতটি বিজেপির দখলে ছিল। কিন্তু বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরতেই বর্তমান প্রধানের নেতৃত্বে সদস্যরা দল বদল করেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের তাঁরা বিজেপিতে ফিরলেন।