
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আইনের চোখে নাবালিকার সম্মতির (consent of minor) কোন গুরুত্ব নেই। এ কথা বলেই ১৬ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত (rape accused) এক যুবকের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি আদালত (Delhi High Court) । শুধু তাই নয়, ওই যুবকের বিরুদ্ধে নাবালিকার আধার কার্ডের জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্তের সেই কাজকেও অত্যন্ত ‘গর্হিত অপরাধ’ বলে দাবি আদালতের।
বিচারপতি জানিয়েছেন, এ থেকে স্পষ্ট, নির্যাতিতার আধার কার্ডে জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে অভিযুক্ত প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, অভিযোগকারিনী নাবালিকা নয়।
২০১৯ সালে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় নাবালিকা। তার বাবা এই ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করেন থানায়। তার বেশ কিছুদিন পর উত্তরপ্রদেশে সাম্ভাল জেলায় নাবালিকার সন্ধান পাওয়া যায়, এবং তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। জানা যায়, সেখানে ২৩ বছর বয়সি এক বিবাহিত যুবকের সঙ্গে থাকছিল সে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিতে কিশোরী নিজেই জানায়, ওই যুবক তার প্রেমিক। গত দেড় মাস প্রেমিকের সঙ্গে নিজের ইচ্ছাতেই থাকছিল বলে ম্যাজিস্ট্রেটকে জানায় নাবালিকা।
সে আরও জানায়, তার সম্মতিক্রমেই তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছে তার ‘প্রেমিক।’ ওই যুবকের সঙ্গেই সে ভবিষ্যতে থাকতে চায় বলে আদালতকে জানায় কিশোরী।
এই ঘটনায় ২০২৯ সাল থেকেই হেফাজতে রাখা হয়েছিল অভিযুক্ত যুবককে। তার বিরুদ্ধে চার্জশিটও পেশ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তারপরেই দিল্লি আদালতে জামিনের আবেদন জানায় অভিযুক্ত। কিন্তু তার আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
বিচারপতি জসমিত সিং স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘যেখানে আবেদনকারীর বয়স ২৩ বছর এবং তিনি ইতিমধ্যেই বিবাহিত, তাঁর ক্ষেত্রে ১৬ বছর বয়সি নাবালিকার সম্মতি তাঁর জামিনের আবেদনের বিপক্ষেই যায়। আইনের চোখে নাবালিকার সম্মতি আদৌ সম্মতিই নয়।’
আদালত আরও জানিয়েছে, ‘এই মামলার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ঘটনার দিন নির্যাতিতার বয়স মেরেকেটে ১৬ বছর ছিল, যেখানে জামিনের আবেদনকারীর বয়স ২৩ বছর এবং তিনি বিবাহিত। আরও জানা গেছে, এক্ষেত্রে আবেদনকারী নির্যাতিতাকে নিয়ে সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসে গিয়েছিলেন তার জন্ম তারিখ পরিবর্তনের জন্য। আধার কার্ডে নির্যাতিতার জন্মসাল ২০০২ ছিল, যা পাল্টে জন্ম তারিখ ৫ মার্চ, ২০০০ সাল করা হয়। স্পষ্টতই, শুধুমাত্র যৌন সম্পর্ক স্থাপনের সময় কিশোরী আদৌ নাবালিকা ছিল না, সেই মিথ্যেটুকু প্রমাণ করার জন্য এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’
এরপরই ওই যুবকের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
অনুব্রত একা নন, লটারি জিতেছেন রাজ্যের আরও ১২ জন ‘প্রভাবশালী’, দাবি ইডির