
গত জুলাই মাসের শেষ দিকে এক মহিলা অভিযোগ করেন, ৩৭ বছরের বিন্নি তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, মহিলা ফ্লিপকার্টের কর্মী ছিলেন। অনেকে আবার বলছেন, তিনি কখনও বিন্নির সংস্থায় কাজ করেননি ।
অভিযোগ ওঠার পরে শুরু হয় তদন্ত । তদন্তকারীরা জানান, বিন্নি ওই মহিলাকে হেনস্থা করেননি । পরস্পরের সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, কয়েকটি ক্ষেত্রে বিন্নি অস্বচ্ছতার পরিচয় দিয়েছেন। ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর পরেই বিন্নি পদত্যাগ করেন। কিন্তু ই-মেল মারফৎ ফ্লিপকার্টের কর্মীদের জানিয়েছেন, এখনও সংস্থায় তাঁর যথেষ্ট শেয়ার থাকছে । তিনি বোর্ডেরও সদস্য থাকছেন।
গত অক্টোবরে এক সাক্ষাৎকারে বিন্নি জানিয়েছিলেন, ওয়ালমার্ট তাঁর সংস্থা অধিগ্রহণ করলেও তিনিই সিইও থাকছেন। ওয়ালমার্ট মনে করে ফ্লিপকার্টকে স্বাধীনভাবে চলতে দেওয়া উচিত ।
কীভাবে ফ্লিপকার্টের প্রতি আরও ১০ কোটি মানুষকে আকৃষ্ট করবেন তার কৌশলও ব্যাখ্যা করেছিলেন বিন্নি । তিনি বলেন, কাস্টমাররা যাতে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করতে পারবেন সেদিকে আমাদের নজর থাকবে। তাঁরা আরও সহজে ঋণ পাবেন । ফ্লিপকার্টের নিজস্ব লেবেলে কমদামি জিনিসপত্রও বিক্রি করা হবে।
বিন্নির ইস্তফায় বিপাকে পড়েছে ওয়ালমার্ট । দেশের বাজারে এখন ফ্লিপকার্টের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে অ্যামাজনের । দুটি কোম্পানিই বাজারে আনছে এক্সক্লুসিভ প্রোডাক্ট । বিন্নি সরে যাওয়ার পরে প্রশ্ন উঠেছে, এর পরে সিইও হবেন কে? ওয়ালমার্ট জানিয়েছে, ফ্লিপকার্ট গ্রুপের অন্যতম ইউনিট ফ্লিপকার্ট ডিভিশনের প্রধান কল্যাণ কৃষ্ণমূর্তি সরাসরি বোর্ডের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন ।
কৃষ্ণমূর্তি ২০১৩ সালে অন্তর্বর্তীকালীন চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার হিসাবে ফ্লিপকার্টে যোগ দেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ফ্লিপকার্ট ডিভিশনের শীর্ষে ওঠেন । এর আগে তিনি ই-বে এবং টাইগার গ্লোবাল সংস্থায় কাজ করেছেন।