
দ্য ওয়াল ব্যুরো : মঙ্গলবার রাতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী হাইকম্যান্ডের (High Command) সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছেন না সনিয়া গান্ধী। তারপর কাল বিলম্ব করল না তৃণমূল। দলের তরফে মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন।
একটি ভিডিও বার্তায় সুখেন্দুশেখর বলেছেন, “জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগেও ভবানীপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং জয়লাভ করেছেন। এবারেও তিনি বিপুল ভোটে জিতবেন। এ ব্যাপারে আমাদের কর্মীদের মধ্যে এবং ভবানীপুরের ভোটারদের মধ্যে কোনও সংশয় নেই। কিন্তু কংগ্রেস দল প্রার্থী না দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই।”
সেইসঙ্গে তিনি এও বলেন, “আমাদের নেত্রী চাইছেন বিভিন্ন বিরোধী দলকে এক ছাতার তলায় আনতে। কারণ যে দানবীয় শক্তি আজকে দেশ চালাচ্ছে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করতে উদ্যত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সবার একজোট হওয়া প্রয়োজন। সেদিক থেকে আমরা কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।”
এখানে বলে রাখা ভাল, কংগ্রেস প্রার্থী না দিলেও বামেরা ভবানীপুরে প্রার্থী দেবে। সেদিক থেকে বলা যায় খাস কলকাতায় বাম-কংগ্রেস জোটে ছেদ পড়ে গেল। এখন কৌতূহল, প্রার্থী না দিয়ে সনিয়া গান্ধী কি চব্বিশের লক্ষ্যে জোট বার্তা দিতে চাইলেন মমতাকে?
তৃণমূল যে ভাবে এক ছাতার তলায় আসার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী না দেওয়াকে দেখতে চেয়েছে, সেটাকেও দশ জনপথের উদ্দেশে কালীঘাটের বার্তা হিসেবে দেখতে চাইছেন অনেকে।
গত বিধানসভায় বামেদের সঙ্গে জোট করে লড়লেও ভোটের পরে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী সমস্ত দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে মমতা দিল্লি সফরে গিয়ে সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তেমনই সনিয়াও তাঁর বৈঠকে সমস্ত অবিজেপি দলগুলির সঙ্গে মমতাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়াকেই শ্রেয় বলে মনে করলেন সনিয়া। বোঝাতে চাইলেন, ফোকাস একটাই। বিজেপিকে হারাও।
এর আগেই দলের মুখপত্র জাগোবাংলায় সম্পাদকীয় লিখে তৃণমূল স্পষ্ট করেছিল, সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোটের কথা কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তারা ভাবছে না। নেতৃত্বের ব্যাটন কার হাতে থাকবে তা নিয়েও তৃণমূল ভাবিত নয় বলে লেখা হয়েছিল। সেইসঙ্গে কংগ্রেসকে বার্তা দেওয়া হয়েছিল তারাও যেন কোনও মুখ বা প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম আগাম হাওয়ায় না ভাসিয়ে দেয়। এসবের মধ্যেই এদিন ভবানীপুরে ভোটের মাঠ থেকে কংগ্রেসের সরে দাঁড়ানোকে তৃণমূল স্বাগত জানাল। বোঝাতে চাইল, তাদেরও লক্ষ্য একটাই। পরাস্ত করো বিজেপিকে।