
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দলের নামে চাঁদা চেয়ে জোরজবরদস্তির ঘটনা নতুন নয় দেশে। কম-বেশি সব দলের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ আছে। এমনই একটি ঘটনায় কেরল (Kerala) কংগ্রেস (Congress) ব্যবস্থা গ্রহণে খানিক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনজন কংগ্রেস কর্মীকে দল বহিষ্কার করে দিয়েছে।
এসব ক্ষেত্রে সাধারণত দলগুলি বড়ডজোর দুঃখ প্রকাশ করে এবং অভিযুক্ত নেতা-কর্মীকে সতর্ক করে। কিন্তু কেরল কংগ্রেস এতটা কঠোর হওয়ার কারণ, রাজ্যের কোল্লাম জেলায় ওই কংগ্রেস কর্মীরা ভারত জোড়ো যাত্রার নাম করে চাঁদা দাবি করেছিলেন সবজি বিক্রেতার কাছে। দু হাজার টাকা দিতে না চাওয়ায় তাঁর সবজি ফেলে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
কংগ্রেস ভারত জোড়ো যাত্রায় অর্থ সংগ্রহেরও একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। তাতে বলা হয়, ক্ষুদ্র দানের উপর জোর দিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে যত বেশি মানুষের কাছে চাওয়া যায়। যে যা দেবে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। জোর খাটানো যাবে না।
গোয়ায় জোর জল্পনা: কংগ্রেস বিধায়কদের বিজেপিতে যোগদানে প্রেরণা তৃণমূল নেতার
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বর্তমানে ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে কেরলে রয়েছেন। প্রতিদিন নতুন নতুন শহরে পৌঁছচ্ছেন তিনি। ক’দিন পরেই অভিযাত্রীরা কোল্লাম পৌঁছবেন। তার আগে এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি ও সিপিএম পথে নেমেছে। তারা জোরদার আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেসকে।
কিন্তু কংগ্রেসের উদ্দেশ্য ভারত জোড়ো যাত্রার মূল লক্ষ্য থেকে যেন মানুষের দৃষ্টি সরে না যায়। সেই কারণে তারা বিরোধীদের অভিযোগের জবাব না দিয়ে নিজেদের মতো করো ব্যবস্থা নিচ্ছে। কেরল কংগ্রেসের সভাপতি কে সুধাকরণ কোল্লামের ঘটনা নিয়ে বলেছেন, ‘কোল্লামের একটি অনভিপ্রেত ঘটনায় জড়িত তিনজন দলীয় কর্মীকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা আমাদের আদর্শের পরিপন্থী কাজ করেছেন। এই ধরনের আচরণ অমার্জনীয়। অনেক দল কর্পোরেট কোম্পানির অনুদানে চলে। আমাদের ক্ষুদ্র অনুদানেই চলে।
ভারত জোড়া আন্দোলনের অন্যতম আয়োজক তথা কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের প্রধান জয়রাম রমেশ কেরল কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেছেন, কংগ্রেস চাঁদায় চলা দল। আমরা জোর করে টাকা তুলি না।