
বুধবারই বিদ্রোহী বিধায়কদের নোটিস দিয়েছেন রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার। তিনি জানতে চেয়েছেন, কেন তাঁদের ডিসকোয়ালিফাই করা হবে না। যেহেতু ওই বিধায়করা এখন জয়পুরে নেই, তাই এসএমএস, হোয়াটস অ্যাপ ও ই-মেল মারফৎ তাঁদের কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বাড়ির বাইরেও নোটিস সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। নোটিসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী বিধায়করা রাজস্থান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানা যাচ্ছে। করোনা অতিমহামারীর জন্য হাইকোর্ট বন্ধ থাকছে ২০ জুলাই পর্যন্ত।
গত রবিবার শচীন বিদ্রোহ করেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি টাকা ও উঁচু পদের লোভ দেখিয়ে তাঁর অনুগামী বিধায়কদের দলে টানার চেষ্টা করছে। একটি সূত্রে খবর, বিদ্রোহী বিধায়কদের মধ্যে নানা বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট দাবি করেছেন, তাঁর সরকারের যথেষ্ট গরিষ্ঠতা আছে। বিজেপিও বলেছে, এই মুহূর্তে বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার প্রয়োজন নেই।
এই পরিস্থিতিতে শচীন মন্তব্য করেন, গান্ধী পরিবারের কাছে তাঁকে ছোট করার জন্যই তাঁর সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগের কথা রটানো হয়েছে। এরপর কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, “আমরা মিডিয়ার মারফৎ জেনেছি, শচীন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না। যদি তিনি বিজেপিতে না যান, অবিলম্বে হরিয়ানায় বিজেপি সরকারের আতিথ্য নেওয়া বন্ধ করুন। দু’টি হোটেলে বিজেপির নিরাপত্তা বলয় আমাদের বিধায়কদের ঘিরে রেখেছে। সেখান থেকে তাঁদের মুক্ত করুন। বিজেপির সঙ্গে আলোচনাও বন্ধ করুন।” শচীন কংগ্রেসে ফিরতে চাইলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হবে বলে সুরজেওয়ালা মন্তব্য করেন।