
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লি কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তথা সদ্য অনুষ্ঠিত পুর নিগমের ভোটে জয়ী আলি মেহেদি শুক্রবার আম আদমি পার্টিতে (AAP) যোগ দিয়েছিলেন। সঙ্গে নিয়েছিলেন মুস্তাফাবাদ এবং ব্রিজপুরি ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলরকে (Congress councilors) । নাটকীয়ভাবে আজ ভোরে তিনজনই আবার কংগ্রেসে ফিরে আসার কথা ঘোষণা (announced) করেছেন।
আলি মেহেদি টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে আগের সিদ্ধান্তকে ‘বড় ভুল’ আখ্যা দিয়ে ভোটার ও কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। বলেছেন, ‘আমি আবার রাহুল গান্ধীর সৈনিকে পরিণত হলাম।
রাজনীতিতে দলবদল এখন জলভাত হয়ে গিয়েছে। রাজনীতির ঘরওয়াপসিও চেনা চিত্র। তবে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ঘরওয়াপসির নজির নেই বললেই চলে।
আসলে দিল্লিতে ১৩৪টি ওয়ার্ড জিতে প্রথমস্থান দখল করেও আম আদমি পার্টি স্বস্তিতে নেই। বিজেপির অপারেশন লোটাসের থাবা আটকাতে তারা পাল্টা ঘর ভাঙানোর খেলায় মেতেছে মেয়র নির্বাচনের আগে। কারণ, মেয়র ভোটে কাউন্সিলরদের ভিন্ন দলের প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধা নেই। আপের আশঙ্কা বিজেপি মেয়র পদ দখল করে পুরবোর্ডে নিজেদের দখলদারি কায়েম রাখতে পারে।
তবে কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ঘরে ফেরার সিদ্ধান্তের পিছনে আছে এলাকার মানুষের প্রতিবাদ। তিনজনই ভোটার ও কর্মী-সমর্থকদের নিন্দামন্দের মুখে পড়েন। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা অজয় মাকেন তিন কাউন্সিলরকে বিষধর সাপের সঙ্গে তুলনা করে বাজার গরম করে দিয়েছিলেন। পুরভোটে কংগ্রেস জিতেছে মাত্র সাতটি ওয়ার্ডে।
মেহেদি, মুস্তাফাবাদের সাবিলা বেগম এবং ব্রিজপুরী থেকে নির্বাচিত নাজিয়া খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় আপে যোগ দিয়েছিলেন। মেহেদির বক্তব্য ছিল, ‘আমরা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ভাল কাজ দেখে আপে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আমাদের এলাকায় উন্নয়ন চাই।’
আজ সকালে আবার কংগ্রেসে ফিরে আসার কথা জানিয়ে মেহেদি বলেছেন, ‘আমি কোনও পদ চাই না। আমি শুধু কংগ্রেসের হয়ে কাজ করতে চাই। আমি একটি বড় ভুল করেছি এবং আমি এর জন্য হাত জোড় করে ক্ষমা চাই এবং আমি রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং আমার এলাকার সমস্ত বাসিন্দা এবং দলের কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’
কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবার সুপ্রিম কোর্টে