
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভবানীপুরের (Bhawanipur) উপনির্বাচন (byelection) নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। রাজ্যে আরও কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি থাকতেও কেন শুধু ভবানীপুরেই ভোট করানো হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে (highcourt) জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। তাতেই এবার সব পক্ষকে নোটিস দিতে বলল উচ্চ আদালত।
কাঁকুড়গাছির সেই নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ চার মাস মর্গে পড়ে থাকার পর আজ অন্ত্যেষ্টি
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার ভবানীপুরের ভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানির দিন স্থির হয়েছে। তাতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকেও অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভবানীপুরে ভোট করানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তারপরেই ওই কেন্দ্রের ভোটের দিন ঘোষণা করেছে কমিশন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন হবে ভবানীপুরে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের মুখ্যসচিব কেন শুধু একটি কেন্দ্রের ভোটের জন্যেই কমিশনের কাছে সওয়াল করলেন আদালতে সেই প্রশ্ন উঠেছে। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় এদিন আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, রাজ্যের মুখ্যসচিব তো মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে পারেন না। রাজ্যের ৫টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন আর দুটি কেন্দ্রে নির্বাচন বাকি আছে। তাই এই সিদ্ধান্ত সংবিধান বিরোধী বলেও দাবি করেন আইনজীবী। উল্লেখ্য, ভবানীপুরের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভার নির্বাচনও ঘোষণা করেছে কমিশন। সেক্ষেত্রে উপনির্বাচন এখনও বাকি থেকে যাচ্ছে চারটি আসনে। তাই প্রশ্ন উঠছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্ব ভবানীপুরের ভোটের উপরেই নির্ভর করে আছে। কারণ নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যাওয়ার পর তিনি এখন কোনও কেন্দ্রের বিধায়ক না। নিয়ম অনুযায়ী ভোটের ফল ঘোষণার ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচনে জিতে না এলে মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকা যায় না। তাই ভবানীপুরের নির্বাচন তাৎপর্যপূর্ণ।