
ব্যবসায়ী রবার্ট বঢরার কথায়, “প্রধানমন্ত্রী কেবল আগের সরকারগুলিকে দোষ দেন।” টুইটারে পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা যায়, রবার্ট বঢরা স্যুট ও হেলমেট পরে খান মার্কেট থেকে যাচ্ছেন নিজের অফিসে। তাঁর পিছনে আরও দু’জন সাইকেলে চড়ে চলেছেন। এক ট্রাফিক পুলিশকে রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যাচ্ছে।
গত জানুয়ারির শুরুতেই রবার্ট বঢরার অফিসে আয়কর দফতরের অফিসাররা হানা দেন। অভিযোগ, নামে-বেনামে লন্ডনে অন্তত ন’টি স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে রবার্টের। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ পাউন্ড। সেই ন’টি সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে তিনটি ভিলা। বাকিগুলি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। সেই সবই কেনা হয়েছিল ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে। অর্থাত্ যখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। ইউপিএ চেয়ারপার্সন ছিলেন সনিয়া গান্ধী।
এই মামলার পৃথক ভাবে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। তাতে রবার্টকে আগাম জামিন নিতে হয়েছিল।
তা ছাড়া রাজস্থানের বিকানেরে জমি মামলাতেও অভিযুক্ত রবার্ট। অভিযোগ, ৩৪টি গ্রামের সরকারি জমির নথিপত্র জাল করে জমি মাফিয়ারা তার দখল নেয়। এক শ্রেণির সরকারি কর্মচারীর সাহায্য নিয়েই জমির কাগজপত্র জাল করা হয়েছিল। এই কেলেঙ্কারিতে রবার্ট বঢরার নাম জড়িয়ে যায়।
জমির মিউটেশন বাতিল করার সময়ে রাজস্থান সরকার জানায়, কাগজপত্রে বিকানেরের কমিশনারের সই ছিল না। বসুন্ধরা রাজে সরকার সেই মিউটেশন বাতিল করে মামলা করেছিল।
রবার্ট বঢরার দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সাজিয়েছে মোদী সরকার।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও এদিন পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি এদিন হিন্দিতে টুইট করে বলেন, ‘যখন পেট্রল পাম্পে গাড়িতে তেল ভরার সময় দেখবেন মিটার হু হু করে বাড়ছে, তখন মনে রাখবেন অপরিশেধিত তেলের দাম কিন্তু বাড়েনি। বরং কমেছে।’
পরে রাহুল লেখেন, “পেট্রলের এক লিটারের দাম এখন ১০০ টাকা। আপনাদের পকেট খালি করে কয়েকজন বন্ধুর পকেট ভর্তি করার জন্য মোদী অনেক চেষ্টা করছেন।” এদিন মধ্যপ্রদেশের তিন কংগ্রেস বিধায়ক পি সি শর্মা, জিতু পাটওয়ারি ও কুণাল চৌধুরিও তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সাইকেলে চড়েন।